সুখবর এল দশমীর সকালেই। গত তিন মাসে এই প্রথম কমেছে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৮০ জনের। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
দেশে কিছুটা কমতির দিকে করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৪৫ হাজার ১৪৯ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮০ জনের। তূলনামূলক হারে দেখতে হলে আগের মাসের তুলনায় দেশে অনেকটাই কমেছে সংক্রমণ। দেশজুড়ে করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ১৪ জনের।
দেশে মোট সংক্রামিত হয়েছেন ৭৯ লক্ষ ৯ হাজার ৯৬০ জন। দেশে এখন অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭১৭। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭১ লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৯ হাজার ১০৫ জন।
জুলাই মাসের ১০ তারিখ শেষ বার চারশোর ঘরে ছিল করোনায় মৃত্যু সংখ্যা। ১০ই জুলাই স্বাস্থ্যন্ত্রক জানিয়েছিল একদিনে ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট বলছে দেশ জুড়ে মোট মৃত্যুর ৫৫ শতাংশ এসেছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু থেকে।
অগাষ্ট মাস থেকে প্রতিদিন প্রায় হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। সেপ্টেম্বর মাসে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় গড়ে ১১০০। তখন প্রতিদিন ৯০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতেন। তবে অক্টোবর মাস থেকে কমতে শুরু করে সংক্রমণের হার। মৃত্যুর সংখ্যাও কমে। দোসরা অক্টোবর থেকে এই ট্রেন্ড দেখা যায়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার ৮.২ শতাংশ থেকে কমে এসে ৪.৮ শতাংশ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে অন্তত তিনকোটি মানুষকে দেওয়া হবে এই টিকা। এই তিনকোটি মানুষের মধ্যে ৭০-৮০ লাখ রয়েছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত ব্যক্তিরা। সেক্ষেত্রে দেশের এই প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের সংখ্যা ২ কোটি পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ভারতে ভ্যাক্সিন মিলতে পারে। অন্তত বয়স্ক বা ফ্রন্টলাইনে কাজ করা ব্যাক্তিদের ভ্যাক্সিন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মাস কয়েকের মধ্যেই। তাই ভ্যাক্সিন কিনতে কয়েক শ কোটি টাকা মজুত রেখেছে কেন্দ্র।