দেশের মাটিতে ঢুকে পড়ার অপরাধে আটক করা হয়েছিল এক চিনা সেনাকে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি ছাড়াও উদ্ধার করা হয় স্লিপিং ব্যাগ ও স্টোরেজ ডিভাইস।
ওই ব্যক্তির কাছে একটি মোবাইল ফোনও পাওয়া যায়। কোনও তথ্য সংগ্রহ ও পাচারের উদ্দেশ্যেই ওই সেনা জওয়ান ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যায়, ভুল করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছেন বলে দাবি করেন ওই জওয়ান।
প্রাথমিক ভাবে ভারতীয় সেনা জানায়, ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়া ও চিনা সেনার নাম ওয়াং ইয়া লং। তাঁর কাছে বেশকিছু সামরিক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করে সেনা। তবে বলা হয়, খুব সম্ভবত অনিচ্ছাকৃত ভাবেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি।
তাঁকে আটক করার পর পিএলএ-র ওই সেনাকে অক্সিজেন, খাবার এবং গরম পোশাক দেওয়া হয়। এমনকি তাঁর তাঁর চিকিত্সার ব্যবস্থাও করা হয় বলে জানায় ভারতীয় সেনা।
এরপরেই আবার চিনা বাহিনীর তরফে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়। পিএলএ-র তরফে ওই সেনাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। ভারত জানায়, “প্রোটোকল মেনে চুশূল-মোল্ডো পয়েন্টে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র আটক সেনাকে চিনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
পরে প্রতিশ্রুতি মতো আটক হওয়া চিনা সেনাকে চিনের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় সেনা। লাদাখের চুমার-ডেমচক এলাকা থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ওই সেনাকে আটক করে ভারতীয় বাহিনী।
এরই মধ্যে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত জুড়ে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেজিং। শুধু নির্মাণ কাজই নয়, চিনা সেনার অবস্থানের বদলও ঘটাতে চাইছে চিন বলে জানা গিয়েছে। তিব্বতে অধিকৃত আকসাই চিন সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে বেজিং।
আকসাই চিনের পাশাপাশি, ঝিংজিয়াং সীমান্তেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। লাদাখের ১৫৯৭ কিমি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে যে এই শীতে সরছে না চিন, তা বোঝাই যাচ্ছে। ভারতীয় সেনা জানতে পেরেছে আকসাই চিনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চিন।
উচ্চপদস্থ ভারতীয় সেনা কর্তা জানিয়েছেন তিনটি বিশাল নির্মাণ চোখে পড়ছে। সূত্রের খবর প্রায় ৩লক্ষ স্কোয়ার ফিট এলাকা জুড়ে চলছে নির্মাণ, যার অর্থ প্রায় ৪টি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা। গোগরা হটস্প্রিং এলাকার সমান্তরালে নির্মাণ চালাচ্ছে চিন।