অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য করোনা (CoronaVirus) টিকা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই সুখবর শোনাল ভারত বায়োটেক। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) এবার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (Drugs Controller General of India)। গত ২ অক্টোবর এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। অবশেষে সেই অনুমতি মিলল। এর অর্থ হল, কেন্দ্রের এই এজেন্সি এই ভ্যাকসিনটির প্রথম দুই পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলে সন্তুষ্ট। এবং এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনটি দেওয়ার পর মানবদেহে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, ভারত বায়টেকের তৈরি এই ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগেই। কোনও ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে পারে। প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এখন চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়ালেরো প্রথম দুই পর্যায় মোটামুটি সাফল্যের সঙ্গে উতরে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার তৃতীয় পর্বে তারা ১৮ বছরের বেশি বয়সি ২৮,৫০০ জনকে এই টিকা দেওয়া হবে। দেশের মোট ১০টি রাজ্যের ১৯টি জায়গায় এই পরীক্ষা চলবে। এর মধ্যে দিল্লি, মুম্বই, পাটনা, লখনউয়ের মতো বড় শহরেও হবে ট্রায়াল। এই প্রক্রিয়ায় সাফল্য এলেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে ভারত বায়টেক। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
অক্সফোর্ডের তৈরি টিকার তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল ইতিমধ্যে ভারতে শুরু করেছে সেরাম। মাঝখানে এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর কিছুদিন বন্ধ ছিল সেরামের টিকার ট্রায়াল। এবার ফের তা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আবার ব্রাজিলে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার ট্রায়ালের সময়ই এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। সেটা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে ভারতেও। তবে তা বলে এই টিকার ট্রায়াল বন্ধ করছে না সংস্থা।