‘জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের নীতি।’ বিশ্বের মধ্যে ভারতকে সর্বোচ্চ শিক্ষার পীঠস্থান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে: নরেন্দ্র মোদী

সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতিতে (national education policy) বদল ঘটিয়েছিলেন। ‌আর যার জেরে দেশীয় রাজনীতিতে হয় তোলপাড়। বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধী দলগুলি। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে নড়েনি বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন ‘জাতীয় শিক্ষানীতি কোনও নির্দিষ্ট সরকারের নয়, দেশের নীতি।’

প্রসঙ্গত সোমবার মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (prime minister Narendra Modi) স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিশ্ব দরবারে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে ভারতকেই উচ্চতর শিক্ষার পীঠস্থান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নয়া শিক্ষানীতিতে ভারতে ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এমনটাই জানানো হয়। বিশ্বের ১০০টি বিদ্যালয়েকে বেছে নেওয়ার কাজ শুরু হবে এই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে। ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স স্ট্যাটাস রয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। যেমন ইয়াল, কেমব্রিজ, এমআইটি, স্ট্যান্ডফোর্ড, এডিনবার্গ, ব্রিস্টলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতে ক্যাম্পাস খোলার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা হয়েছিল ২০১৩ সালে। কিন্তু ভারতে নিজেদের ক্যাম্পাস খোলার কোনও ইচ্ছাই প্রকাশ করেনি এই নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তবে মোদী রাজত্বে সেই সিদ্ধান্তে বদল আসবে কি না তা অবশ্য সময়ই বলবে।

এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বাস্তব জীবনের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চলেছেন আপনারা। এটি এমন একটি ক্যাম্পাস হবে যেখানে ডিগ্রির পাশাপাশি আপনার এতদিনের অর্জিত ক্ষমতা এবং আপনি যে জ্ঞান অর্জন করেছেন তা প্রয়োগের কাজ করতে হবে।” এরপরই তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগের উল্লেখ করেন। কীভাবে এই নীতির মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্কিল আরও উন্নত করা যাবে সে বিষয়েও নিজের মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.