ফের গণতন্ত্র লুন্ঠিত এই বাংলায়। ফের আক্রান্ত বিজেপি। অভিযোগের তীর শাসক দল তৃনমূলের দিকে। গতকাল অমিত শাহ এর রোড শো কলকাঠি নাড়িয়ে আটকে দিয়েছিল তৃণমূল। অমিত শাহও নাছোড়বান্দা, অনুমতি নিয়ে আজ কলকাতায় রোড শো করে দেখিয়ে দিলেন তিনি। দুপুর ৩:৩০ নাগাদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এর রোড শো মেট্রো চ্যানেল থেকে শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল সিমলা স্ট্রিটে।
সভা শুরু থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় রোড শো। কলকাতার আকাশে বাতাসে ভেসে ওঠে জয় শ্রী রাম আর মোদী মোদী স্লোগান। অমিত শাহ এর রোড শোয়ে ভিড় দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয় শাসক দলের।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রোড শো যেতেই শুরু হয়ে যায় তৃনমূলের তান্ডব। অনুমোদিত রোড শো মাঝ রাস্তায় আটকে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপির সদস্যরা৷ অমিত শাহকে দেখানো হয় কালো পতাকা। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তোলে গো ব্যাক স্লোগান।
রোড শো একটু এগিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে পৌঁছাতেই ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীরা। বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে টিএমসিপি এবং বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়৷ তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। কলেজের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি-টিএমসিপি সদস্যরা৷ ভাঙচুর চালানো হয় কলেজ ক্যাম্পাসে। ভেঙে ফেলা হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি।
টিএমসিপির এই হামলায় আহত হন বিজেপি এবং এবিভিপির কয়েকজন সদস্য। এখন প্রশ্ন একটাই, সমস্ত রকম অনুমতি থাকা সত্বেও রাস্তা আটকে তৃনমূলের এই বিক্ষোভ কতটা যুক্তিযুক্ত? এরাজ্যে কি তৃণমূল ছাড়া আর কেউ রোড শো করতে পারবে না? এটাই কি গণতন্ত্র?