দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে। কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। তবু সীমান্ত সমস্যা মেটেনি ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারত একের পর এক সমাধানসূত্র সামনে আনলেও, চিনের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক উত্তর মেলেনি। ফলে জারি রয়েছে অচলাবস্থা। এই পরিস্থিতিতে আবারও বৈঠকে বসছে নয়াদিল্লি ও বেজিং।
আগামী সপ্তাহেই অষ্টম দফার বৈঠকে বসবে ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনা। এই বার ভারতের তরফে বৈঠকে বসতে চলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। মেনন সদ্য লেহ অঞ্চলে ১৪ কর্পসের দায়িত্ব নিয়েছেন। এই বৈঠকে থাকবেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব।
চিনের তরফে বৈঠকে থাকতে পারেন মেজর জেনারেল লিন লিউ ও বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র। প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত নিয়ে জটিলতা রয়েছে। ভারতীয় সেনা কৌশলগত দিক থেকে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে বলে বেশ চিন্তায় চিন। উল্লেখ্য ভারতীয় সেনা স্পানগার থেকে রিচিন লা পর্যন্ত এলাকার দখল নিয়েছে আগেই।
ভারতের দাবি ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত ভারতীয় ভূখন্ড। সেখানে অনধিকার প্রবেশ ঘটিয়েছে চিন। তাহলে ফিঙ্গার থ্রিতে ভারতীয় সেনাঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে, তা অনৈতিক নয়। কেন সেই এলাকা ছাড়বে ভারত। মে মাসের আগে পর্যন্ত ফিঙ্গার ৮ অবধি টহলদারি চালাত ভারতীয় সেনা। তাহলে এখন সেই অবস্থানে বদল ঘটানো হয়েছে জোর করে।
ভারত সেই অধিকার কেন ছাড়বে। ভারতের দাবি চিনা সেনাই আগে এগিয়ে এসেছে। তাই তারাই আগে পিছিয়ে যাবে। এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। এছাড়াও প্যাংগং লেক এলাকায় ট্যাংকের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে চাপ দিতে পারে ভারত।
চিনা সেনার কাছে এই মুহুর্তে ৩০০ থেকে ৪০০টি ট্যাংক রয়েছে। ডেপসাংয়ে মোতায়েন রয়েছে অত্যাধুনিক জেডটিজেড-৯৯ ভার্সন। এদিকে, রিচিং লা, রুদক, হটস্প্রিং এলাকাতেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত।
চিনের তরফে রয়েছে ভারি মর্টার, মাল্টি ব্যারেলড রকেট লঞ্চার, এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র, অ্যান্টি ট্যাংক গান। এদিকে, সপ্তম রাউন্ডে সামরিক বৈঠকে অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে আলোচনা করে ভারত।
তবে চিনের পক্ষ থেকে দখলদারি মনোভাব নিয়ে বৈঠকে বসা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ভারতের সামনেও সেনা অবস্থান বদলের শর্ত রাখে চিন। জানানো হয় ভারতকেও নিজের এলাকা ছেড়ে পিছনে সরতে হবে। ফিঙ্গার ফোর থেকে সরে ফিঙ্গার ২য়ে চলে যেতে হবে ভারতীয় সেনাকে।