ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অন্তর্গত সাতগাছিয়া বিধানসভার নহাজারী নামক এলাকায় শেষ দফা ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেল। সংঘর্ষ চলছে গত শনিবার থেকেই, এবং সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী ঝামেলার উৎস ‘জয় শ্রীরাম’ বলা থেকেই শুরু।
সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নাহাজারীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের (রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে হিন্দুদের) লোকজনের উপর হামলা হয়েছে, যা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে পড়ে।
অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা ( বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন) এই এলাকার ঘর ভাঙচুরের পিছনে রয়েছে।
শুক্রবার রাতে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয় এবং এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের( হিন্দুদের) একটি অংশকে সম্পুর্ন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যদিও সেই এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠরাই সংখ্যালঘু। তাদের বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর করা হয় এবং অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের আক্রমণ করা হয়।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, আক্রান্ত লোকজন উভয়ই টিএমসি এবং বিজেপির সমর্থক। সুতরাং কোনো ভাবেই এই সংঘর্ষকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বলে আখ্যা দেওয়া যায় না। কারণ জ্যোতি বসুর পুরোনো বিধানসভা এলাকা হলেও সিপিএমের সেই দাপট আর নেই।
গত রাতে আবারও গন্ডগোল ছড়িয়ে পরে এবং সেটা আজ সকাল পর্যন্ত চলে। পুলিশকে প্রাথমিকভাবে গ্রামে প্রবেশ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি দেওয়া হয় নি। পরে যখন অতিরিক্ত পুলিশ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স কর্মীদের সাথে এলাকায় প্রবেশ করে, তখন তারাও আক্রান্ত হয় এবং তাদের কয়েকজন আহত হয়।
অভিযোগ রয়েছে যে একজন টিএমসি নেতার স্বামী এই এলাকার সন্ত্রাসের জন্য ২০০ জনেরও বেশি দুর্বৃত্তকে অন্য স্থান থেকে নিয়ে নিয়ে অস্ত্র শস্ত্র সহযোগে এই ঘটনাটা ঘটিয়েছেন।
এর পরে এই ঘটনার রেশ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এবং নহাজারী ছাড়াও বৌলখালী নামক এলাকায় পরিস্থিতি এখনও তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ রয়ে গেছে।
এখন কিছু ভিডিও সামনে আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ভীত সন্ত্রস্ত হিন্দুরা এলাকা ত্যাগ করছেন, কারণ তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগও করেছেন।
19 মে তারিখে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জ্যোতি বসুর নির্বাচনী ক্ষেত্র ছিল।