করোনা মোকাবিলায় তৈরি সরকারি তহবিলের অর্থ তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল। তল্লাশি চালাতে বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। নিজেকে বাঁচাতে অভাবনীয় এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন ব্রাজিলের সেনেটর।
চিকো রডরিগেজ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইরে বলসোনারোর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে করোনা তহবিলের ৩০ হাজার রিয়েলস তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় মুদ্রায় টাকার অঙ্কটা প্রায় ৪ লক্ষ। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে কেউ বালিশ-বিছনার নিচে তো কেউ কেউ দেওয়ালের ভিতর টাকা লুকিয়ে রাখেন। কখনও কখনও বাথরুমের কমোডেও টাকা লুকিয়ে রাখার উদাহরণ মিলেছে। কিন্তু চিকো যা করলেন, তা একেবারই নজিরবিহীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশি চলাকালীন নিজেকে বাঁচাতে সেই অর্থ অন্তর্বাসে লুকিয়ে ফেলেন চিকো। অবশ্য শুধু অন্তর্বাস নয়, দুই নিতম্বরে মাঝেও টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে পুলিশের দাবি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চিকো। পুলিশ জানিয়েছে, ব্রাজিলের উত্তর প্রান্তে রোরাইমো প্রদেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারি তহবিল তৈরি হয়েছিল। সেই তহবিলের অর্থ ব্যক্তিগত খরচে চিকো ব্যবহার করছিলেন বলে অভিযোগ।
ঘটনা প্রসঙ্গে চিকো রডরিগেজ বলেন, পুলিশ নিজেদের কাজ করেছে। তাঁরা একটি অভিযোগের তদন্ত করছে, সেই ঘটনার আমার নামও জড়িয়েছে। তাই তাঁরা আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন। পাশাপাশি নিতম্বে টাকা লুকিয়ে রাখার অভিযোও অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের উপর বেজায় চটেছেন জাইরে বলসোনারোও। তাঁর কথায়, “আমার সরকার কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। মিডিয়া মিথ্যা রিপোর্ট করছে।”