২০১৯ সালের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো জম্মু কাশ্মীরে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রায় ৭৫ শতাংশ কম অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এমনই তথ্য দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। সেনা জানিয়েছে, কিছু সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তার কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় জওয়ানরা।
ভারতীয় সেনার তরফে ১৫ কর্পসের জেনারেল অফিসার ইন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস রাজু এই তথ্য দেন। তিনি বলেন পাক সেনা একাধিক বার সীমান্তে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। তবে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এই বিষয়ে বেশ সাফল্য পেয়েছে সেনা।
২০১৯ সালের তুলনায় চলতি ২০২০ সালে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গিয়েছে ৭৫ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। জেনারেল রাজু বলেন গত বছর ১৩০ জন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। এই বছর সেই সংখ্যাটা ৩০-ও নয়। এর ফলে কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে।
এরই মধ্যে কেরান সেক্টরে ভারতীয় সেনা জওয়ান মোতায়েনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে ওই এলাকা দিয়ে পাক সেনা অনুপ্রবেশে সাহায্য করতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের। লেনদেন হতে পারে বা পাচার হতে পারে অস্ত্র ও টাকা।
এদিকে, শনিবারই ভারতীয় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় দুই জঙ্গি। জম্মু কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় এই ঘটনা ঘটে। সেনা সূত্রে খবর এখনও ওই দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার না হলেও, তাদের নিকেশ করা গিয়েছে বলে নিশ্চিত খবর মিলেছে।
ইন্ডিয়া টুডের সূত্র জানাচ্ছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী। ঘাঁটি থেকে যৌথ বাহিনীর ওপর প্রথম গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। প্রত্যুত্তর দেয় সেনাও। শুরু হয় গুলির লড়াই। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী।
এদিকে, শনিবার গভীর রাতে পুঞ্চের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফের গুলি বর্ষণ করে পাকিস্তান। শুক্র ও শনিবারের মধ্যবর্তী রাতে, ১.৩০ মিনিট নাগাদ ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তান।
বিনা প্ররোচনাতেই পাক সেনা গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ ভারতের। একটানা মর্টার হামলা ও ছোট অস্ত্র দিয়ে হামলা চলে। পালটা জবাব দেয় ভারতও। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে মানকোটে সেক্টরে এই হামলা হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।