শুক্রবার ঘোষিত হল নোবেল শান্তি পুরস্কার। এবার এই কৃতিত্বের অধিকারি হল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (World Food Programme)। সাধারণত কোনও ব্যক্তি বা মহিলাই এই পুরস্কার পান। তবে এবার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খিদের জ্বালা মেটানোর লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী এই কৃতিত্ব জিতে নিলেন। এর আগে অবশ্য ২৫ বার বিভিন্ন সংস্থা এই কৃতিত্বের অধিকারি হয়েছে।
মহামারীকালে এই পুরস্কারের জন্যে ৩১৮টি নামের মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ২১১ জন ব্যক্তি এবং ১০৭টি সংস্থার নাম ছিল। নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize, 2020) পাওয়ার দৌড়ে সংস্থা হিসেবে এগিয়ে ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা মহামারী রুখতে তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি মিলবে বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। আবার ব্যক্তি হিসেবে এই দৌড়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পুতিন-সহ অনেকেই। শুক্রবার ওসলো থেকে নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রিয়েস অ্যান্ডারসন এই পুরস্কারের ঘোষণা করেন।
এদিন এই পুরস্কার ঘোষণার পর নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খিদের জ্বালা মেটাতে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে এঁরা। ক্ষুধার জ্বালাকে হিংসা ও যুদ্ধ ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে বাধা দেওয়ারও সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। তারই স্বীকৃতি দেওয়া হল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে। নোবেল কমিটর তরফে আরও জানানো হয়েছে, দুনিয়ার প্রান্তিক এলাকায় বা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও হাতি বা উটের পিঠে চাপিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।
এদিন নাম ঘোষণার পর ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাপকদের হাতে সোনার মেডেল ও পুরস্কার আর্থিক মূল্য তুলে দেওয়া হবে। এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য নেহাত কম নয়। প্রায় ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামীকাল অর্থনীতিতে নোবেল প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হবে।