বিজেপির মিছিল ঘিরে ধন্ধুমার কাণ্ড! শহর জুড়ে কার্যত তাণ্ডব বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। আর তা রুখতে কড়া পুলিশ প্রশাসনও। শহরের বিভিন্ন জায়গায় আগে থেকেই ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ আধিকারিকরা।
বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নবান্নের ধারে কাছে পর্যন্ত ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ প্রশাসন। যদিও বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকে। আর তখন তাঁদের রুখতে ব্যবহার করা হয় জল কামান।
এদিনের জলের সঙ্গে নীল রঙ মেশানো হয়। আর তাই মূলত ছেটানো হয়। যদিও বিজেপি কর্মীদের দাবি, সেটি রঙ নয়, আসলে রাসায়নিক। আর সেটাই বিজেপি কর্মীদের উপর ছেটানো হয়েছে। আর সেই রঙ গায়ে লেগে বহু নেতা-কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি। এমনকি বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থা গুরুতর বলে দাবি বিজেপির।
যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য জানান, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেবেন তিনি। তবে এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এদিন জলকামান থেকে যে রঙীন জল ছোড়া হয়েছে তাতে মেশানো ছিল সাধারণ হোলির রং। বিক্ষোভ শেষের পর কোনও কারণে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করতে হলে রঙীন জল গোটা বিশ্বে ব্যবহার করা হয়। তাতে অন্য কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি।
যদিও যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য বলেন,”নীল তরল ছোড়া হয়েছিল। বিক্ষোভে ঠান্ডা বা গরম জল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এভাবে রাসায়নিক কোথাও ব্যবহার করা হয় না।”
তাঁর দাবি, এই রং গোটা শরীরকে জ্বালিয়ে দিচ্ছিল। বমিও হচ্ছিল কর্মীদের।