আগে থেকে তৈরি হওয়া কর্মসূচির মতই বেলা এগারোটার কিছু পরে বিজেপি যুব মোর্চা এবং বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতা নেত্রীরা নবান্ন অভিযান এর উদ্দেশ্যে কলকাতা এবং হাওড়া থেকে মোট চারটি মিছিল শুরু করে এগিয়ে যান। তাদেরকে আটকাতে আগে থেকেই ব্যারিকেড এবং জলকামানের ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীকালে যা চিত্র দেখা গেল তাতে এই কথা স্পষ্ট যে রাজ্যে গণতন্ত্র বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। বিরোধী পক্ষ মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসতেই পুলিশ নির্বিচারে যে ভাবে লাঠি চার্জ করা শুরু করলো তা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। এছাড়াও সাঁতরাগাছিতে জলকামান থেকে বেগুনি রংয়ের রাসায়নিক মেশানো জল যেভাবে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর স্প্রে করা হলো তাতে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন অনেকে।
হাওড়া ব্রিজের কাছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়েছেন। বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তাপস ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে কারণ তিনি পুলিশের নির্মম অত্যাচার ও কাঁদানে গ্যাস সহ্য করতে না পেরে বমি করতে শুরু করেছিলেন। বেগুনি রঙের রাসায়নিক স্প্রে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তীব্র ভাবে আঘাত করায় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং ছটফট করতে থাকেন। তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ এমনকি মহিলা কর্মীদের ওপর যথেচ্ছ ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। হাওড়া ব্রিজে তখন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। প্রবল জলকামানের মুখেই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ, সঙ্গী ছিল র্যাফ। অন্যদিকে হাওড়া ময়দানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে বিজেপি কর্মীদের। একজন বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। তবে যে ভাবে বয়স্ক কর্মীদের ওপর হাওড়া ব্রিজে লাঠিচার্জ করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে তা দেখে আঁতকে উঠেছেন সকলেই।
পুলিশের অত্যাচারে আহত সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো বলছেন, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নবান্নের দিকে কিন্তু সেখানে মমতা সরকারের পোষা গুন্ডাবাহিনী (পড়ুন পুলিশ) যেভাবে তাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না।