বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান: পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত এই বিজেপি সাংসদ!

বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান কে কেন্দ্র করে বর্তমানে কলকাতা ও হাওড়ায় রয়েছে থমথমে পরিস্থিতি। বেলা যত বাড়ছে ততোই উত্তেজনার পারদ চড়ছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। সাঁতরাগাছি ও হেস্টিংস দিয়ে এগোতে থাকা মিছিল আটকাতে বিশাল ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করে পুলিশ। প্রত্যাশামতোই ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করা শুরু করে। হাওড়া ময়দানে ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের মারামারি শুরু হয়।

পরিস্থিতি বেসামাল দেখে হেলমেটে নিজের মাথা ঢাকেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি হেস্টিংস থেকে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।তার অভিযোগ হেস্টিংস মোড়ে বিজেপিকে লক্ষ্য করে কলকাতা পুলিশ ইঁট ছুঁড়ছে।বিজেপি সমর্থকদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হচ্ছে বেআইনিভাবে। আবার পুলিশের অভিযোগ হেস্টিংসের বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কাঁচের বোতল ছুঁড়েছে।হাওড়া ময়দানে এক বিক্ষোভকারীর কাছ থেকে নাকি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা হাওড়া ময়দানে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ অভিযোগ করেছে তাদের উদ্দেশ্যে নাকি বিজেপি কর্মীরা বোমা ছুঁড়ে মেরেছে!

অন্যদিকে সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সাঁতরাগাছিতে গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশের লাঠিচার্জে। এর প্রতিবাদে বিজেপির কর্মীরা পুলিশের কিয়স্কে ভাঙচুর চালায়। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করতে একটি অভিনব উপায় অবলম্বন করেছে পুলিশ যার নিন্দা করছে সব মহল। সাঁতরাগাছি তে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করতে নীল রং মেশানো জল দিয়ে পুলিশ জলকামান থেকে আহত করছে বিক্ষোভকারীদের! এছাড়াও একের পর এক কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটাচ্ছে তারা। পুলিশের এই অতি সক্রিয়তাকে কোন মহলই ভালো ভাবে দেখছে না। তাদের একটাই বক্তব্য, বিজেপি কি এত ভয় কেন রাজ্য সরকারের? তাহলে কি নিজেদের পতন অনিবার্য সেটা তারা বুঝতে পারছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.