রাহুল ত্রিপাঠি কেন KKR-এর হয়ে ওপেন করছেন না? দীনেশ কার্তিকের আগে কেন মর্গ্যান ব্যাট করছেন না? মহেন্দ্র সিং ধোনিই (Mahendra Singh Dhoni) বা চেন্নাইয়ের হয়ে কেন উপরের দিকে ব্যাট করতে আসছেন না? এখনও পর্যন্ত আইপিএলে চেন্নাই (Chennai Super Kings) এবং কেকেআর (Kolkata Knight Riders) শিবির নিয়ে এই তিনটি প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছিল। বুধবার আবু ধাবিতে সেই তিনটি প্রশ্নেরই একসঙ্গে উত্তর মিলল। রাহুল ত্রিপাঠি যেমন ওপেন করলেন তেমনি চার নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন এমএস ধোনিও। আর যুযুধান দুই প্রতিপক্ষের লড়াইয়ে শেষ হাসি কিন্তু হাসল কেকেআর।
এদিন দিনের শুরুতেই চমক। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। আর শুরুতেই শুভমনের সঙ্গে ওপেনে নামলেন রাহুল ত্রিপাঠি (Rahul Tripathi)। আর শুধু নামলেনই না, একাই করলেন ৮১ রান। দেখেশুনে খেললে হয়তো শতরানটিও পেয়ে যেতেন। এদিনও শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন তিনি। আর ত্রিপাঠির দৌলতেই ধোনিদের বিরুদ্ধে নাইটদের শুরুটাও বেশ ভালই হয়েছিল। যদিও গিল (১১), রানা (৯) দ্রুত ফিরে গিয়েছিলেন। ওপেন থেকে সোজা চার নম্বরে নামা নারিন করেন ১৭ রান। এমনকী এদিন ব্যর্থ হন রাসেল (২) এবং মর্গ্যানও (৭)।
কিন্তু ওপেনে নামা রাহুল যেন নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। একার কাঁধেই দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষে যখন আউট হলেন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫১ বলে ৮১ রান। মারেন ৮টি চার ও তিনটি ছয়। এদিকে, সমালোচনার মুখে হোক কিংবা পরিস্থিতির কারণ, এদিন সাত নম্বরে কেকেআরের হয়ে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক কার্তিকও রান পেলেন না। করলেন মাত্র ১১ বলে ১২ রান।শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৭ রান তোলে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাভো তিনটি এবং কুরান, শার্দুল এবং কারণ শর্মা দু’টি করে উইকেট পান।
১৬৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই হয় চেন্নাইয়ের। তবে প্রথম ধাক্কাটি দেন শিবম মাভি। ১৭ রানে ফেরান ডু’প্লেসিকে। এরপর অবশ্য রায়ডু–ওয়াটসন জুটি চেন্নাইয়ের ইনিংসের হালও ধরেন।একসময় খেলায় বেশ ভালভাবেই ফিরে আসে চেন্নাই। দু’জনের রান তোলার গতি দেখে মনে হচ্ছিল, দু–এক ওভার আগেই হয়তো ম্যাচ জিতে যাবেন ধোনিরা। কিন্তু ওই জুটি ভাঙতেই ম্যাচে ফিরে আসে নাইটরা। ৩০ রানে রায়ডুকে আউট করেন নাগরকোটি। তবে উলটোদিকে ওয়াটসন নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।
এদিন ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় একহাতে গ্লাভস ছাড়াই অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরে সবাইকে চমকে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর ওয়াটসন ফিরতেই চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আর একদফা ভক্তদের অবাক করে দেন ক্যাপ্টেন কুল। আর মঞ্চও যেন ছিল প্রস্তুত। আগের ম্যাচগুলোর মতো আস্কিং রেট বেশি ছিল না। হাতে উইকেট ছিল। সামনে আবার স্পিনাররা। চেন্নাইয়ের সমর্থকরা যখন ধোনি ঝড়ের অপেক্ষায়, তখনই বরুণ চক্রবর্তীর একটি বল তাঁদের সেই সব আশায় জল ঢেলে দিল।
১১ বলে মাত্র ১২ রান করেই বোল্ড হলেন। আর তাঁর মঞ্চে ‘হিরো’ বনে গেলেন বরুণ। বলতে গেলে ওই একটি উইকেটই যেন চেন্নাইকে ম্যাচ থেকে বের করে দিল। এরপর ব্র্যাভো–জাদেজা–কেদাররা থাকলেও শেষপর্যন্ত ডেথ ওভারে রাসেল–নারিনদের বোলিং নাইটদের দশ রানে জয় এনে দিল। ম্যাচের পর রাহুল আবার জানালেন শাহরুখের উপস্থিতিতে এই জয় সত্যিই স্পেশাল।