অবশেষে আশার আলো। চলতি বছরের শেষের দিকেই চলে আসতে পারে করোনার (Coronavirus) ভ্যাকসিন। আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মঙ্গলবার জেনিভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন,”এই রোগের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে আমাদের প্রথম প্রয়োজন ভ্যাকসিনের। আর আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষের দিকেই আমাদের হাতে নিরাপদ এবং উপযোগী ভ্যাকসিন চলে আসবে।”
রাশিয়া ইতিমধ্যেই নিরাপদ এবং উপযোগী করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করে ফেলেছে। চিনও দাবি করছে, তাঁদের দেশে তৈরি অন্তত তিনটি ভ্যাকসিন আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আসার জন্য প্রস্তুত। আমেরিকার দুটি সংস্থা মডার্না এবং ফাইজারও ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্বে। আর এইসব ভ্যাকসিনের থেকে লড়াইয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা। কিন্তু বিশ্বের বহু দেশ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শোনালেও এতদিন কার্যত চুপ ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভ্যাকসিন নিয়ে সেভাবে কোনও আশার কথা তো শোনাই যায়নি, উলটে তারা বিশ্বের সব দেশকে সতর্ক করেছে। ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় না নেমে এর কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। এমনকী, রাশিয়া নিজেদের ভ্যাকসিনের সাফল্য দাবি করলেও WHO সেই ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এই প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শোনা গেল।
উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে WHO এবং GAVI যৌথভাবে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে COVAX। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বহু দেশ এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়েছে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে মোট ৯টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে এইও কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্ম। যদিও এর মধ্যে কোন ভ্যাকসিনটি এ বছরের শেষের দিকে আসতে পারে, তা নিয়ে কোনও বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি WHO প্রধান। তিনি শুধু সংক্ষেপে জানিয়েছেন, এ বছরের শেষে ভ্যাকসিন আসতে পারে। শোনা যাচ্ছে, ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের অন্তত দু’শো কোটি ডোজ বণ্টনের পরিকল্পনা আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই প্রথম WHO এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করল।