উত্তর প্রদেশের হাথরাসে গণ-ধর্ষণ ও নির্যাতিতা তরুণীর মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার হাথরাস নিয়ে সুপ্রিম করতে হলফনামা জমা দিল উত্তর প্রদেশ সরকার। শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই মামলায় অবাধ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যাতে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত চলুক, এমনটাও চাইছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, রাজ্য সরকার বদনাম করার জন্য ‘ভয়ঙ্কর অভিযান’ শুরু হয়েছে।
ঠিক কী কারণে রাতারাতি দাহ করা হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে সেই উত্তরও দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়েছে, রাতেই নির্যাতিতার দেহ সৎকারের জন্য তরুণীর বাবা-মা’কে রাজি করেছিল জেলা প্রশাসন। সকালে বড় ধরনের হিংসা এড়াতেই এমনটা করা হয়েছিল। হলফনামায় আরও জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, লক্ষ লক্ষ বিক্ষোভকারী জড়ো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং এই ইস্যুকে জাতি হিংসার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে হাথরাসের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। উত্তরপ্রদেশেও বহু জায়গায় আন্দোলনে নেমেছেন দলিত সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। মঙ্গলবারই কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা হাথরসে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের আটকে দিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দিল্লি থেকে গাড়িতে করে হাথরাসে যাওয়ার পথে মথুরায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
2020-10-06