একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা করছে ভারত। এবার সফল ভাবে পরীক্ষা করা হল সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিসটেড রিলিজ অফ টর্পেডো বা SMART। ওডিশার উপকূল থেকে সোমবার এই পরীক্ষা করা হয়।
লাদাখে একদিকে যখন সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত, তেমনই সাগরে আগ্রাসী মনোভাবের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে দেশ। তারই অংশ হিসেবে এদিন এই পরীক্ষা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে SMART ভারতীয় নৌসেনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিসটেড রিলিজ অফ টর্পেডো বা SMART দূরপাল্লার ও হাই রেঞ্জের সিস্টেম। যা প্রতিপক্ষ বা শত্রু সাবমেরিন বহুদূর থেকে নিখুঁত ভাবে টার্গেট করতে পারবে। এই সিস্টেমের সাহায্যে হালকা ওজনের অ্যান্টি সাবমেরিন টর্পেডোর মিসাইল সহায়ক রিলিজ সম্ভব।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে এই সিস্টেমে ভেলোসিটি রিডাকশান মেকানিজম অত্যাধুনিক। এরই সঙ্গে মিসাইল ছাড়ার পদ্ধতিরও উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। ডিআরডিও-র প্রধান সি সতীশ রেড্ডি জানান, এই সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিসটেড রিলিজ অফ টর্পেডো বা SMART গেম চেঞ্জার হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে।
সোমবার SMART উৎক্ষেপণের সময়ে নজরে রাখা হয়, ট্র্যাকিং স্টেশন যেমন রাডার, ইলেকট্রো অপটিক্যাল সিস্টেমের কার্যকারিতাগুলি। এদিকে শনিবারই অত্যাধুনিক শৌর্য মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া তথ্যে উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়ে দেন, বিশ্বের আধুনিকতম মিসাইলগুলির মধ্যে এটি একটি প্রমাণিত হবে। এই মিসাইল এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি ওজনে হালকা ও তুলনায় অনেক বেশি ব্যবহারযোগ্য। ৮০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানে শৌর্য মিসাইল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই মিসাইল লক্ষ্যবস্তুর যত কাছে যাবে, হাইপার সনিক গতিতে তা আঘাত করবে।
দিন কয়েক আগেই সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস । এই মিসাইল ৪০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত ভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। ডিআরডিও-র আওতায় পিজে-১০ প্রজেক্টের নিয়ন্ত্রণাধীন এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্রহ্মস মিসাইল পরীক্ষা করা হয়। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অতিরিক্ত বুস্টার প্রয়োগ করে এই মিসাইল তৈরি করা হয়েছে। এই মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের ফলে ডিআরডিও-র হাতে এখন ৫০০ কিমি রেঞ্জের মিসাইল তৈরি রইল।