কলকাতাঃ ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে টিটাগড়ে শ্যুটআউট। পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে একের পর এক গুলি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় টিটাগড়-বারাকপুর অঞ্চল।
ঘটনার পরেই বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানান, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার বারাকপুর বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ১২ ঘন্টার বারাকপুর বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।
অন্যদিকে, আজ সোমবার টিটাগড় যেতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ একাধিক বিজেপি নেতা থাকতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীও। ঘটনার পরেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কড়া ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা জানান। কৈলাশের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে টিটাগড় থানার সামনে গুলি করে খুন করেছে।
পুলিশের ওপর তাঁদের আর কোনও বিশ্বাস নেই। কারণ, এর আগে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁকে অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে বারাকপুরে তাঁর এবং তাঁর কর্মীদের জীবন নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অর্জুন সিং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অর্জুন ঠাকুরকে তাঁকে খুনের ‘সুপারি’ দিয়েছেন। মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখারও দাবি জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
উল্লেখ্য, জানা যায়, রবিবার রাতে তাঁর দলীয় কার্যালয়ের সামনেই বসে ছিলেন মণীশ শুক্লা।
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইকে করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে। তাঁকে ঘিরে ধরে। খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে অন্তত পাঁচ থেকে ছটি গুলি দুষ্কৃতীরা চালায় বলে অভিযোগ। একেবারে নিজের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা।
সূত্রের খবর, তাঁর শরীরে পাঁচ থেকে ছয়টি গুলি লাগে। ওই বিজেপি নেতার মাথায় ও বুকেও গুলি লেগেছে। দ্রুত ওই বিজেপি নেতাকে সঙ্কটজনক অবস্থায় কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি।
এই ঘটনার পরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনীকে।