রাজ্যে এই প্রথম কোনও চিটফান্ড মামলার রায় ঘোষণা হল। মনোরঞ্জন রায় ও তার স্ত্রী মৌসুমী রায় সহ ৮ জন অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ শোনাল আদালত।
একই সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা ধার্য করলো জেলা আদালত। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের ফেরত দিতে হবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছে আদালত।
বে-আইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকন মামলার শুনানি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। আর শনিবার তমলুকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে আজ এই মামলার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (৩) মৌ চট্টোপাধ্যায়। ২০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৮ জনকে দোষী স্যবস্ত করা হয়। এবং তাদের যাবজ্জীবন কারদন্ড হয়।
পাশাপাশি ওই ৮ জনকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। যদিও বাকি ১০ জনকে এই মামলায় বেকসুর খালস ঘোষনা করা হয়। বাকি ২ জনের মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয়। বে-আইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা পিনকনে টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছিলেন অনেকেই।
সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের একাংশ পিনকন সংস্থার বিরুদ্ধে খেজুরি থানায় ২০১৭ সালে অভিযোগ দায়ের করেন। ৪/১১/২০১৭ তারিখে রাজস্থান থেকে পিনকনের অন্যতম ডিরেক্টর মনোরঞ্জন রায় সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে ডিরেক্টর অফ ইকোনমিক অফেন্স বা ডিইও-এর আধিকারিকরা।
একে একে মনোরঞ্জনের স্ত্রী সহ কুড়িজন ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করে ডিইও। তমলুক জেলা দায়রা আদালতের অধীনে অর্থনৈতিক অপরাধের বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। পরবর্তীকালে মনোরঞ্জনের স্ত্রী মৌসুমী রায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। বিচার পর্ব চলাকালীন দুই ডিরেক্টর মারাও যান।
আজ শনিবার আদালত এই মামলার রায় শোনাল। নির্দেশে বিচারক বলেন, পিনকনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৫ হাজার আমানতকারীর ৪৪ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পরেই খুশিতে মেতে ওঠেন অসংখ্য আমানতকারী।