বাংলার মহিলাদের ক্যারাটে শেখাচ্ছে বিজেপি

ভোটের আগে বাংলার মহিলাদের ক্যারাটে শেখাচ্ছে বিজেপি৷ মহিলাদের আত্মরক্ষায় কলকাতায় ‘উমা’ কর্মসূচির সূচনা করল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চা৷ শুধু কলকাতায় নয় প্রতিটি জেলায় ‘উমা’ কর্মসূচিতে মহিলাদের শেখানো হবে আত্মরক্ষার কৌশল৷ শেখাবেন পেশাদার প্রশিক্ষকরা৷

শুক্রবার গান্ধী জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় শুরু হল ‘উমা’র পথ চলা৷ এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল যোগা সোসাইটির সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ৷ মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক মৌসুমী পাল৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন বিজেপি উত্তর কলকাতা মহিলা মোর্চা নেত্রী শ্বেতা সিনহা৷

অবশ্য এই প্রশিক্ষণ শিবিরে স্বাগত ভাষণ দেন বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল৷ তিঁনি হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়াল ভাষণে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নারীদের অবস্থা খুব শোচনীয়৷ নারীরা এখানে অত্যাচারিত৷ নারীরা কোনও ন্যায় পায় না,বিচার পায় না৷ তাদের ওপর দিনেরাতে অত্যাচার হয়ে চলেছে৷

এখন আর অত্যাচার সহ্য করার সময় নেই৷ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়৷ আইন অনুযায়ী প্রত্যেক ভারতীয়ের নিজের আত্মরক্ষা করার অধিকার আছে ৷ তাই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা৷ এর সঙ্গে দলীয় কর্মসূচির কোনও সম্পর্ক নেই৷ অর্থাৎ এই প্রশিক্ষণে যোগ দিলেই যে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই৷

তবে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার ক্ষেত্রে বিষয়টি নতুন হলেও গেরুয়া শিবিরের নয়৷ বজরং দলের প্রমীলা শাখা দুর্গা-বাহিনীতে মহিলাদের অস্ত্র থেকে লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ শুক্রবার কলকাতায় করোনা আইন মেনে প্রথম ভাগে ৫০ জন মেয়েকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়৷

যদিও কয়েক বছর আগে থেকেই কলকাতা পুলিশ আয়োজিত করে আসছে ‘তেজস্বিনী’কর্মসূচি৷ মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রাথমিক পাঠ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয় এই কর্মশালা৷

কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে সম্পূর্ণ নিখরচায় মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে এই কর্মশালায়৷ পথেঘাটে ট্রামে-বাসে অবাঞ্ছিত স্পর্শ বা অশালীন উৎপাতের লক্ষ্য কখনও কখনও হতে হয় মহিলাদের। শারীরিক ভাবে হেনস্থা বা উত্যক্ত করার সুযোগ কখনও কখনও খোঁজে বিকৃতরুচির কেউ কেউ। আচমকা এমন কোন অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে মহিলারা যাতে প্রাথমিক আত্মরক্ষার খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবহিত থাকতে পারেন, সে জন্যই কলকাতা পুলিশের উদ্যোগ – ‘তেজস্বিনী’।

২০১২-১৩ সালে বিভিন্ন থানার উদ্যোগে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ হাতেকলমে শেখানো হয়৷ যে উদ্যোগটা শুরু হয় তার নাম সুকন্যা, সেটা এখনো চলছে। সুকন্যা মূলত স্কুল কলেজের মেয়েদের জন্য। এর বাইরে যে বিশাল সংখ্যক মহিলারা পড়ে আছেন তাদের জন্য কলকাতা পুলিশ সার্জেন্ট ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শুরু হয় তেজস্বিনী। T

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.