এ যেন সিনেমার দৃশ্য! মাঝরাতে অন্ধকার পথ চিরে ছুটে আসছে নেত্রীর গাড়ি, আচমকা আড়াআড়ি পথ রুখে দাঁড়াল পুলিশের গাড়ি! ‘নেমে আসুন, তল্লাশি হবে!’
সূত্রের খবর, খানিক এমনই ছিল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পিংলার একটি রাস্তার দৃশ্য। জানা গিয়েছে, ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ খবর পান, পিংলায় এক বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনার সময়ে দাসপুরে ছিলেন তিনি। হামলার খবর পেয়ে দাসপুর থেকে পিংলা যান গাড়ি নিয়ে। রাতের দিকে ঝামেলা মিটিয়ে, ফের দাসপুর ফিরছিলেন তিনি।
এমন সময়েই ঘটে ওই ঘটনা। তাঁর পথ আটকে গাড়ি দাঁড় করায় পুলিশ। জানায়, নেত্রীর গাড়িতে প্রচুর নগদ টাকা রয়েছে বলে খবর আছে তাদের কাছে। তল্লাশি করতে চাইলে তাতে বাধা দেন একদা দুঁদে পুলিশ আধিকারি ভারতী।
তবে জানা গিয়েছে, জোর করে গাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ, তার পরে কিছু জিনিস আটক করে, ‘সিজার লিস্ট’ তৈরি করে, ভারতীকে বলে সই করে দিতে। ভারতী রাজি হননি। এই নিয়ে টানাপড়েন চলে ভোররাত পর্যন্ত। শেষমেশ সই না করেই চলে আসেন ভারতী।
অভিযোগ, পিংলা থানার মণ্ডল বার গ্রামে ভারতী ঘোষ ভোটারদের টাকা বিলি করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ সেই টাকা উদ্ধার করে এবং ভারতী ঘোষ কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রামেরই একটি বাড়িতে তাঁকে বসিয়ে কথা বলা হয় বলে জানা গিয়েছে। ভারতীর গাড়িতে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া পিংলার ব্লক নেতা গোবিন্দ হুই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গেও পুলিশ কথা বলছে বলে খবর।
যদিও বিজেপি সূত্রে দাবি, খুবই সামান্য পরিমাণে টাকা ছিল নেত্রীর গাড়িতে, তা কোনও অপরাধের আওতায় পড়ে না। তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের অধীন। এখানে তৃণমূলের কোনও হাত নেই।
কিন্তু গাড়িতে ঠিক কত টাকা ছিল বা আর কিছু ছিল কি না, তা জানা যায়নি। ভোররাতে গাড়ি-সহ ছেড়ে দেওয়া হয় ভারতী ঘোষকে।