মঙ্গলবার বৃহন্মুম্বই পুরনিগম বনাম কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) মামলায় খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে যেতে হল শিব সেনা (Shiv Sena) নেতা সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut)। আদালতের বিচারপতি এস জে কাঠাওয়ালা (SJ Kathawalla) এবং আর আই চাগলার (RI Chagla) ডিভিশন বেঞ্চের ভর্ৎসনা শুনতে হল প্রবীণ শিব সেনা নেতাকে। কঙ্গনার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাউত। কোনও পরিস্থিতিতেই এমন ভাষা ব্যবহার করা যায় না। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বম্বে হাই কোর্টের দুই বিচারপতি।
সোমবারই এই মামলার শুনানি শুরু হয়। কঙ্গনার অভিযোগ ছিল, ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই BMC-কে তাঁর পালি হিলের অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর জেরে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান। ভারচুয়াল শুনানিতে কঙ্গনাকে উদ্ধৃত করে তাঁর আইনজীবী জানান, কঙ্গনার টুইটের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রোশ মিটিয়েছেন সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। কঙ্গনাকে শিক্ষা দিতেই BMC-র মাধ্যমে প্রতিশোধ নেন। কঙ্গনাকে কুকথা বলা হয় বলে অভিযোগও করা হয়। এর জেরেই আদালতে একটি অডিও চালানো হয়। বিপক্ষের আইনজীবী অডিও শোনার পর দাবি করেন, ক্লিপে সঞ্জয় কঙ্গনার নাম উচ্চারণ করেননি। এর প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার ফের শুনানি ধার্য হয়। সঞ্জয়কে নিজের সপক্ষে বক্তব্য পেশের নির্দেশ দেয় বম্বে হাই কোর্ট।
সেই প্রেক্ষিতেই আজ সঞ্জয় রাউতের আইনজীবী আদালতে নাকি জানান, প্ররোচনা মূলক মন্তব্যের জেরেই এমন কথা তাঁর মুখ থেকে বেরিয়েছে। তার উত্তরে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কঙ্গনা যে মন্তব্য করেছিলেন (পাক অধিকৃত কাশ্মীর মুম্বই) তা সমর্থন যোগ্য না হলেও এভাবে কারও বিরুদ্ধে পালটা মন্তব্য করা যায় না। এদিকে টুইটারে কঙ্গনা আবার অভিযোগ করেন BMC নাকি তাঁর প্রতিবেশীদেরও নোটিস ধরিয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে, কেউ যদি কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেন তাহলে তাঁদের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হবে।