গত আগস্ট পর্যন্ত প্রতি পনেরো জনে একজন করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সম্মুখীন হয়েছেন। দশ বা তার বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে হিসেবটা এরকমই। আইসিএমআর-এর (ICMR) এমন দাবিকে মঙ্গলবার মান্যতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। গত ১৭ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর আইসিএমআর-এর করা দ্বিতীয় জাতীয় সেরো-সার্ভে রিপোর্ট থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের প্রায় ৭.১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সম্মুখীন হওয়ার হদিশ মিলেছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, দশ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে এযাবৎ প্রতি ১৫ জনে একজন করোনার সম্মুখীন হয়েছেন।
আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গভ জানিয়েছেন, এর অর্থ এখনও বিপুল সংখ্যক ভারতীয়ই করোনায় আক্রান্ত হননি। সুতরাং ৫-‘টি’ (টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রেস, ট্রিট ও টেকনোলজি) কৌশল বজায় রেখে তার মোকাবিলা করতে হবে।
ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, শহরের বস্তি এলাকায় সংক্রমণের সম্ভাবনা অ-বস্তি এলাকার প্রায় দ্বিগুণ। গ্রামের তুলনায় সেই সম্ভাবনা চার গুণ বেশি। আগামী উৎসবের মরশুম ও শীতকালে করোনা মোকাবিলায় বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন বলরাম ভার্গভ। তাঁর মতে, এই সময় সামাজিক দূরত্ব আরও বেশি করে বজায় রাখতে হবে।
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরাকেও। নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভিকে পাল আরজি জানিয়েছেন, সকলে যেন মাস্ক পরে দিওয়ালি, দসেরা, ছটপুজো কিংবা ইদের মতো ধর্মীয় উৎসব পালন করেন।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৫১ লক্ষ ভারতীয় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর নিরিখে ভারতের স্থান বিশ্বের সংক্রমিত দেশগুলির তালিকায় নিচের দিকেই রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এরপরও তিনি সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, এখনও বিপুল সংখ্যক ভারতীয় করোনার সম্মুখীনই হননি।