শুরুটা হয়েছিল গল্প বলা দিয়ে। শেষে সেই গল্পের ছলেই কৃষি বিলের উপকারিতা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন কি বাত (Maan ki Baat) অনুষ্ঠানের মাধ্যেমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, কৃষি বিল পাশ হওয়ায় আসলে কৃষকদেরই উপকার।
শুরুতেই দেশবাসীর উদ্দেশে বললেন, গল্প বলুন। দেশে গল্প বলার সংস্কৃতি শেষ হয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষণ গল্প বলার উপকারিতা নিয়েও কথা বললেন। তারপরই চলে গেলেন ‘আসল’ কথায়। গল্পের ছলেই বোঝানোর চেষ্টা করলেন কৃষি বিলের উপকারিতা। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “বলা হয়, মাটির সঙ্গে যার যোগ আছে, সে যে কোনও তুফানের মোকাবিলা করতে পারে। করোনার এই সংকটকালেও কৃষকরা নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়েছেন। এই কঠিন সময়েও দেশবাসীকে পথ দেখিয়েছে কৃষিক্ষেত্র। করোনার এই আবহে আমাদের কৃষকরাই আত্মনির্ভর ভারতের আধার।
হরিয়ানার শোনিপথের এক কৃষক পরিবারের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) নতুন কৃষি বিলের উপযোগিতা বোঝানোর চেষ্টা করলেন। বাজার থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ সরে গেলে এবং কৃষকরা সরাসরি বেসরকারি সংস্থার কাছে ফসল বিক্রি করার সুযোগ পেলে আদতে যে তাঁদেরই লাভ হবে, সেটাও বোঝানোর চেষ্টা করলেন মোদি। বললেন, আগে মান্ডির বাইরে কৃষকরা ফসল বেচতে পারতেন না। অনেক সময় তাঁদের ফসল এবং গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হত। এখন খোলাবাজারে সরাসরি ফাইভ স্টার হোটেলেও ফসল সরবরাহ করতে পারবেন। যা লাভজনক হবে। নতুন এই কৃষিবিল ফড়েরাজের অবসান ঘটাবে তা বোঝাতে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুরের কৃষকদের উদাহরণও টানেন মোদি।
কৃষি বিলের (Farm Bill 2020) উপকারিতা তুলে ধরার পাশাপাশি, আর্থিক নীতি নিয়ে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারগুলিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মোদি। বলেন,”আজ যে আত্মনির্ভর ভারতের ডাক তিনি দিয়েছেন, সেটার প্রয়োজনই পড়ত না, যদি গান্ধীজির আর্থিক নীতি এতদিন মেনে চলা হত।” এবছর ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে তাঁর আদর্শ আরও বেশি করে মেনে চলার অঙ্গিকার করেছেন মোদি। সেই সঙ্গে স্মরণ করেছেন শহিদ ভগত সিংকেও। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,”কাল ২৮ সেপ্টেম্বর ভগত সিংয়ের জন্মতিথি পালন করবে দেশ। ভগত সিংয়ের দেশপ্রেম থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। চার বছর আগে এই সময়ই আমাদের জওয়ানরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিলেন। সেই বীর জওয়ানদের সাহসিকতাই তাঁদের জয় এনে দেয়। আমাদেরও তাঁদের সাহসিকতার পথ অনুসরণ করতে হবে।”