বহু মানুষ ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা করছেন। বহু সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন। তা না করে দেশের সেনার ওপর ভরসা রাখুন। এমনই পরামর্শ দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের। দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে সীমান্তে পাহারায় রয়েছে জওয়ানরা বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।
এদিন টাইমস নাওকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জয়শংকর বলেন চিন ও ভারতের মধ্যে যে টানাপোড়েন চলছে তা দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে মেটাবে।
তবে ভারতের জওয়ানদের ওপর দেশ ভরসা করে। সব ধরণের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি ভারত। লাদাখ পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে দাবি করে জয়শংকর এদিন জানান, ভারত নিজের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সর্বদা তৎপর।
সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বৈঠক হয়েছে। প্রয়োজনে আবার বৈঠক চলবে। তার আগেই কেউ যেন কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফেলেন বলে এদিন আবেদন করেন বিদেশমন্ত্রী। জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সব ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবার নয়াদিল্লি পরিষ্কার জানিয়ে দেয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করলেই আত্মরক্ষার জন্য ভারতীয় সেনা গুলি চালাবে চিনা সেনাকে লক্ষ্য করে। তাই চিনা সেনা যেন সেই ভুল না করে।
শুক্রবার চিনকে কার্যত সাবধানবাণী শোনায় ভারত। গত কয়েক মাস ধরেই লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার অবস্থান নিয়ে সংঘাত চলছে। একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকের পরেও কোনও লাভ হয়নি। ২৪শে সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দিয়ে তাই অবস্থান বোঝান হয়।
উচ্চপদস্থ সরকারি সূত্র জানায়, গালওয়ান ভ্যালির সংঘাতের পর এটাই ভারতের সবথেকে কড়া সতর্কবার্তা। এদিন ভারত জানিয়ে দেয় চিন যেন মনে রাখে, কোনওভাবেই ভারতীয় সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পার করা বরদাস্ত করবে না। চিনা সেনাকে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হতে দেখলেই গুলি চালাবে ভারতীয় সেনা।
কোনও রেয়াত করা হবে না। উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরে ভারত সীমান্তে একাধিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। ওই সংঘর্ষের সময় চিনা সেনা মধ্যযুগীয় কায়দায় লোহার তৈরি অস্ত্র নিয়ে ভারতীয় সেনাদের আক্রমণ করেছিল।
যার জেরে শহিদ হয়েছিলেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। গত বেশ কয়েক মাস ধরে লাদাখ ঘিরে চলছে উত্তেজনা। তবে বর্তমান সময়ে ভারত-চিন উভয় পক্ষই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের অবসানের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতেও চলছে দড়ি টানাটানি। এক্ষেত্রেও শর্ত রাখছে চিন।