এবার ভারতকে বিপাকে ফেলতে জম্মু ও কাশ্মীরকে নিশানা করেছে চিন। উপত্যকায় ভারতীয় বাহিনীকে বেসামাল করতে, জঙ্গিদের দ্রুত অস্ত্র জোগান দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছে পড়শি দেশটি। সম্প্রতি, নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক চিনা ড্রোন গুলি করে নামানোর পর এমনটাই জানিয়েছেন এরক শীর্ষ সরকারি আধিকারিক।
সূত্রের খবর, কাশ্মীর উপত্যকাকে উত্তপ্ত করে তুলতে ইতিমধ্যে বেজিং থেকে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে। ওই নির্দেশে সাফ বলা হয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে বা সীমান্তে চোরাকারবারিদের মদতে কাশ্মীরে (Kashmir) সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যেন প্রচুর অস্ত্র পৌঁছে দেয় পাকিস্তান। আর সেই চেষ্টায় জে খামতি রাখছে না রাওয়ালপিণ্ডি তা স্পষ্ট। সম্প্রতি, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ভারত-পাক সীমান্তে বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। বেশ কিছু অস্ত্র বয়ে নিয়ে আসছিল সেগুলি। ড্রোন থেকে উদ্ধার হওয়া ওই হাতিয়ারগুলির গায়ে চিনা অস্তরনির্মাতার ছাপ রয়েছে। সদ্য এমনই একটি ড্রোন থেকে ‘Type 97 NSR’ রাইফেল উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। চিনা অস্ত্রনির্মাতা নরিনকোর তৈরি এই বিশেষ হাতিয়ার ‘বেল্ট এন্ড রোড’ প্রকল্পের সুরক্ষায় পাকিস্তানের ‘ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’কে দিয়েছে চিন। ফলে কাশ্মীরে চিন-পাকিস্তান ষড়যন্ত্র নিয়ে আর কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।
কয়েকদিন আগেই নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানের সক্রিয়তা প্রসঙ্গে কাশ্মীরের ডিজিপি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান (Pakistan) ও তাদের এজেন্সিগুলি সবসময়ই সক্রিয়। তারা প্রতি মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করে চলেছে। ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য ছড়ানো এবং পুঞ্চ ও রাজৌরির জঙ্গিদের মদত দেয় তারা। যার ফলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা নিত্তনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পুলিশ, সেনা ও অন্য বাহিনীদের যৌথ প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের সব পরিকল্পনাই ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি বজায় রয়েছে।