সুরক্ষা বিধি ছিল, বারবার সুরক্ষা নিয়ম স্মরণও করিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেককে। তবু শেষ রক্ষা করা গেল না। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু জানিয়েছেন বাদল অধিবেশনের শেষে রাজ্যসভার ৮৩ জন আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেক করোনা আক্রান্তকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এই করোনা সংক্রমণের ভয়েই বাদল অধিবেশনের সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়। তবু করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি। পয়লা অক্টোবর বাদল অধিবেশন শেষ করার কথা থাকলেও, তা করা হয়নি। ২৩শে সেপ্টেম্বর শেষ করা হয় বাদল অধিবেশন। শুধু রাজ্যসভার আধিকারিকরাই নন, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক সাংসদও।
সংসদে বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনই একসঙ্গে ১৭ সাংসদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত সাংসদদের বেশিরভাগই বিজেপির। করোনা আবহেই শুরু হয় সংসদের বাদল অধিবেশন। অধিবেশনের আগে অধ্যক্ষের নির্দেশে করানো করোনা পরীক্ষাতেই জানা যায়, মোট ১৭ সাংসদ কোভিড পজিটিভ।
গোটা দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল সংসদ। পরে কড়া বিধি-নিষেধ মেনেই শুরু হয় বাদল অধিবেশন। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রত্যেক সাংসদকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। সেই মতো আগেই করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন সাংসদরা।
রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, ১৭ সাংসদের শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনাভাইরাস। পদ্ম শিবিরের ১২ জন সাংসদ করোনা আক্রান্ত হন। এছাড়াও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২ জন ও শিবসেনা, ডিএমকে, আরএলপির একজন করে সাংসদ করোনা আক্রান্ত হন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই শুরু হয় সংসদের বাদল অধিবেশন। অধিবেশন কক্ষে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সব সাংসদদের মাল্টি-ইউটিলিটি কোভিড-১৯ কিট দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাতে অধিবেশনের নিয়মেও বেশ কিছু বদল আনা হয়।
এদিকে, দেশে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৮৬ হাজার ৫২ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১৪১ জনের।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ লক্ষ ১৮ হাজার ৫৭১। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেস হল ৯ লক্ষ ৭০ হাজারের একটু বেশি। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে দেশে করোনার জেরে মোট মৃত্যু ছুঁয়ে ফেলেছে ৯২ হাজারের ঘর, ফলে রয়েছে আশঙ্কা।