প্রধানমন্ত্রী মোদীর উচ্চ প্রশংসা আইএমএফ বা ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ডের। তাঁদের দাবি ভারতে সুষ্ঠুভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে কেন্দ্র। এর একটাই কারণ দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প সফলতা লাভ করেছে। আইএমএফ জানাচ্ছে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাহায্য করেছে এই আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প।
আইএমএফের কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট ডিরেক্টর গ্যারি রাইস বলেন স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে যে পথে হাঁটছে ভারত, তা এক কথায় প্রশংসার যোগ্য। করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের জন্য যে আর্থিক বিপুল ধাক্কা লাগত ভারতে, তার অনেকটাই সামলানো গিয়েছে এই আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের জন্য।
রাইস আরও বলেন বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত একটা বড় ভূমিকা পালন করছে। প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক ও তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দেশের মাটিতে এনে তাদের সামনে বাণিজ্যের সুযোগ করে দেওয়ার মতো একাধিক পদক্ষেপ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালকের আসনে বসিয়েছে।
এর আগে, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন একবিংশ শতাব্দীর ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদের স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে। এই সঙ্কটের ফলে সেই সুযোগ এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে যে হারে পিপিই কিট এবং এন ৯৫ মাস্ক তৈরি হচ্ছে, তা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এক সময়ে যা তৈরির পরিমাণ ছিল অত্যন্ত নগণ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের এই পৃথিবীতে আত্মনির্ভরতার সংজ্ঞা বদলে গেছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করে বলেন, দেশ যখন স্বনির্ভরতার কথা বলে, তা আত্ম-কেন্দ্রিকতার থেকে আলাদা। সারা বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে ভাবাই ভারতীয় সংস্কৃতি, তাই ভারতের প্রগতির অংশীদার হবে গোটা বিশ্ব। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব মনে করে সমগ্র মানবজাতির উন্নয়নে ভারতের প্রচুর অবদান থাকবে।
মোদী বলেছিলেন, আত্মনির্ভর ভারত দাঁড়িয়ে থাকবে পাঁচটি স্তম্ভের উপর। এগুলি হল – ১, অর্থনীতি, যা ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনই আনবে না, প্রয়োজনীয় মাত্রা যোগ করবে দেশের পরিকাঠামোয়। ২। সুষ্ঠু পরিকাঠামো যা হবে ভারতের পরিচয়। ৩। ব্যবস্থা- একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনা। ৪। প্রাণবন্ত জনসাধারণ – যা হবে আত্মনির্ভর ভারতের শক্তির উৎস।.৫। চাহিদা- আমাদের যে চাহিদা রয়েছে তা সাপ্লাই চেনের মাধ্যমে মেটানো হবে।