পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তান নিয়ে নতুন করে ভারত পাক কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু। স্বাধীনতার পর থেকে বেআইনিভাবে নিজেদের দখলে রাখা গিলগিট-বাল্টিস্তানে (Gilgit-Baltistan) নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে পর্যন্ত এই এলাকায় অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরি করে শাসনভার চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা কিনা ওই এলাকার প্রশাসনিক চরিত্র বদলের শামিল। আসলে ভারত-চিন বিরোধের আড়ালে পাকিস্তান ওই এলাকাকে নিজেদের ষষ্ট প্রদেশে পরিণত করতে চাইছে। বৃহস্পতিবার যার তীব্র প্রতিবাদ করল নয়াদিল্লি। ভারত সাফ জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের দখলে থাকা ওই এলাকা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওই এলাকায় নির্বাচন করানোর যে অপচেষ্টা পাকিস্তান করছে, তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই।
স্বাধীনতার পর থেকেই ওই বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ‘অবৈধ’ ভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু ওই এলাকা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বছর দুই আগে দিল্লির এই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টও। পাকিস্তান যেহেতু ওই এলাকা জবরদখল করে রেখেছে, সেহেতু সেখানে নির্বাচন করানোর অধিকার পাক সরকারের নেই। তা সত্বেও কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ওই এলাকায় নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেয়। আগামী নভেম্বরে ওই এলাকায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। বুধবারই পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ডঃ আরিফ আলভি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন। আগামী ১৫ নভেম্বরে গিলগিট বাল্টিস্তানে নির্বাচন হওয়ার কথা।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সংবিধান অনুসারে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে পাক অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করতে হয়। শুধু তাই নয়, ‘পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যের’ শপথও নিতে হয় বাসিন্দাদের। নির্বাচন ঘোষণা করে আসলে গিলগিট-বাল্টিস্তান এলাকার চরিত্র বদলাতে চাইছে পাকিস্তান। আর সেটা বুঝতে পেরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দিল্লি।
বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন,”সেনা দিয়ে জবরদখল করে রাখা গিলগিট বাল্টিস্তান এলাকার রাজনৈতিক অবস্থান বদলের যে কোনওধরনের প্রচেষ্টা পুরোপুরি বেআইনি। আমরা শুরুতেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। গোটা জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং সেটা ভারতের অংশ হিসেবেই বজায় থাকবে।”