আইপিএলে (IPL 13) প্রথম ম্যাচে নেমেই হার। ঘাতক পুরনো–সেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যাদের কাছে এ নিয়ে ছাব্বিশ বারের মধ্যে কুড়ি বার হারতে হল কেকেআরকে। কিন্তু নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক এখনই টিমের কড়া সমালোচনার রাস্তায় হাঁটতে চান না। বুধবার ম্যাচ হেরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাইট অধিনায়ক বলে দেন, “আমাদের উন্নতির প্রচুর জায়গা আছে। ব্যাটিংয়ে, বোলিংয়ে। মেনে নিচ্ছি, আমরা একেবারেই ভাল খেলিনি আজ। কিন্তু কে কোথায় ভুল করেছে, সে সব নিয়ে বলতে চাই না। ঠিক আছে। ছেলেরা বুঝতে পারছে কোথায় ভুলটা হল।”
কিন্তু কেকেআর (KKR) যাঁদের গতবারের নিলাম থেকে প্রচুর অর্থ দিয়ে কিনেছিল, সেই ইয়ন মর্গ্যান এবং প্যাট কামিন্স দু’জনেই এ দিন সুপারফ্লপ। সেটা কি চিন্তার নয়? নাইট অধিনায়কের জবাব, “একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। কামিন্স আর মর্গ্যান (Eion Morgan) দু’জনেই নিজেদের কোয়ারান্টাইন শেষ করে আজ খেলতে নেমে পড়েছে। কাজটা কিন্তু খুব একটা সহজ নয়। এখানকার পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। প্রচণ্ড গরম এখানে।” কার্তিককে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি নিজেও বা কেন টপ অর্ডার নিয়ে অত নাড়াচাড়া করতে গেলেন? নাইট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের সঙ্গে কি তাঁর এ নিয়ে কথা হয়েছে? উত্তরে কিছুটা অসন্তুষ্ট কার্তিক বলে দেন, “না। সময় পাইনি। আপনাকে পরের ম্যাচের আগে জানিয়ে দেব।”
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) আবার এদিনের পর অনেকটাই নিশ্চিন্ত। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হার দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করতে হয়েছিল মুম্বইকে। প্রথম ম্যাচে রোহিত নিজেও রান পাননি। কিন্তু এ দিন শুধু কেকেআরকে হারালেন না। একই সঙ্গে ম্যাচ সেরার ট্রফিও নিয়ে গেলেন। “আমরা শুধু চেয়েছিলাম, নৃশংস ক্রিকেট খেলতে। সেই আমাদের প্ল্যান ছিল। নিজের ইনিংস নিয়ে বলতে হলে বলব, গত কয়েক মাস আমি ক্রিকেট খেলিনি। চেয়েছিলাম, ক্রিজে নেমে একটু সময় কাটাতে। প্রথম ম্যাচে হয়নি।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে হল,’’ বলে দেন রোহিত। সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের হিটম্যান জুড়ে দেন যে, ওয়াংখেড়ে পিচের কথা ভেবে টিম করলেও সেই টিম আমিরশাহীর পিচেও রেজাল্ট দিচ্ছে। “আমরা তো জানতাম না যে, আইপিএলটা আমিরশাহীতে হবে। ওয়াংখেড়ের কথা ভেবে পেস আক্রমণকে শক্তিশালী করেছিলাম। কিন্তু এখানেও দেখলাম, প্রথম দিকে বল ভাল সিম করল। তবে একটা জায়গায় আামদের উন্নতি করতে হবে। আমি শেষ দিকটায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। সেটা হলে চলবে না। একজন সেট ব্যাটসম্যানকে একদম শেষ পর্যন্ত থেকে আসতে হবে।”