আগামী মাস থেকে শুরু হতে চলা উৎসবের মরশুমে দেশবাসীকে কঠোর ভাবে কোভিড-স্বাস্থ্যবিধি মানতে বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা জানিয়ে দিলেন, এখনও সংক্রমিত হতে পারেন দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের (Niti Ayog) সদস্য (স্বাস্থ্য) বি কে পাল (B K Pal) বলেছেন, “স্বাস্থ্যবিধি পালনে ঢিলেঢালা মনোভাব চলবে না, বরং আরও কঠোর ভাবে তা মানতে হবে। কারণ, এখনও দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘মাস্ক পরলে ৩৬ থেকে ৫০ শতাংশ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করা যায়। তাই টিকা না-আসা পর্যন্ত মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা, বড় জমায়েত এড়ানো, হাত পরিষ্কার রাখার মতো বিষয়গুলিই ‘সামাজিক প্রতিষেধক’ হিসেবে কাজ করবে।”
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে দৈনিক সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সেদিক থেকে সব ধরনের সাবধানতা রাখতে হবে প্রতিটি নাগরিককে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে নীতি আয়োগ সদস্য বলেছেন, “সামনে শীতকাল। সেই সঙ্গে উৎসবের মরসুম। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই আরও বেশি করে জনমানসে সতর্কতা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, বলেন, “যতদিন না ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন সতর্কতা মানতেই হবে। এ ব্যাপারে সবটা সরকার বা প্রশাসন করতে পারবে না। জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে।”
সতর্কবার্তা দিয়ে বি কে পাল বলেন, “আগামী দু’তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা রাখতে হবে। মাস্ক পরা মাস্ট! মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধিও।” তিনি আরও বলেন, গ্রীষ্ম থেকে শীতের মরসুমে ঢোকার সময়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে। তাই এই সময়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, মাস্কের ব্যবহারে সংক্রমণের হার যে কম হচ্ছে সেই প্রমাণ একাধিক দেশে মিলেছে। তাই বৈজ্ঞানিক কারণেই মাস্ককে অপরিহার্য করে তুলতে হবে।”