সংসদের দুই কক্ষেই অচলাবস্থা জারি। তিন দাবি না মানা পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন বয়কট চলবে বলে জানিয়েছেন বিরোধীরা। আট সাংসদকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার-সহ মোট তিন দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশন বয়কট কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা।
বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন বিরোধী দলের সাংসদরা। কৃষি বিল নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ওই বিলে রাষ্ট্রপতিকে সই না করতেও আবেদন জানাতে পারেন বিরোধীরা।
সংসদে উত্তেজনার পরিবেশ জারি। কৃষি বিল পাস ও আট রাজ্যসভার সাংসদকে ববরখাস্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন বয়কট চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, আপ, এনসিপি-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চলেছেন।
মঙ্গলবার রাতেও বরখাস্ত সাংসদরা সংসদ ভবনেই ছিলেন। এবার কৃষি বিল নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন বরখাস্ত সাংসদেরা। বুধবার বিকেলে বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন বিরোধী নেতারা।
কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে সংসদে কৃষি বিল পাশ করিয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে রাষ্ট্রপতিকে। এমনকী রাষ্ট্রপতিকে ওই বিলে সই না করতেও আবেদন জানানো হবে বলে ঠিক করেছেন বিরোধীরা।
সব মিলিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই অচলাবস্থা জারি। একদিকে কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভ, ধরনা, বয়কট কর্মসূচি চলছে। বরখাস্ত সাংসদদের ফিরিয়ে নেওয়া না হলে গোটা বাদল অধিবেশন বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিরোধীরা।
এর উপর রাষ্ট্রপতিকেও কৃষি বিলে সই না করার আবেদন জানাতে চলেছেন বিরোধী দলের সাংসদরা। স্বভাবতই সংখ্যার জোরে বিল পাশ করালেও পরোক্ষে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের উপর।
অন্যদিকে, বাদল অধিবেশন শুরুর পর থেকে একাধিক সাংসদ ও সংসদের কর্মীর মধ্যে ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ। বাদল অধিবেশন শেষ হতে এখনও আট দিন বাকি রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা বিচার করে বুধবারই এবারের মতো বাদল অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন লোকসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।