‘কব হ্যাঁয় হোলি? কব’। শোলে ছবিতে গব্বর সিংয়ের সেই বিখ্যাত ডায়লগের মতোই অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। তাঁরাও যেন জানতে চাইছে, ‘কব হোগা বারিষ? কব’ অর্থাৎ কবে মিলবে বৃষ্টির দেখা? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী পাঁচ দিনেও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
ক্রমশ চড়ছে পারদ। হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতাসহ সারা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। গলদঘর্ম নাকাল রাজ্যবাসী ঝড় না হয় বৃষ্টি কিছু একটা চাইছে। কিন্তু চাইলেই তো আর হল না। আবহাওয়া মগের মুল্লুক নয়। হাওয়া অফিসের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এখন কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলায়। কতদিন এই অবস্থা চলতে পারে। আবহবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন আগামী পাঁচ দিনে অন্তত তেমন কোনও সুখবরের হদিশ তাঁরা দিতে পারছেন না।
বলা যেতে পারে ঝড় জলের সঙ্গে এখন রাজ্যবাসীর বহু দূরের সম্পর্ক। উলটে আগামী কয়েকদিনে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেশীই থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। কলকাতার অবস্থাও তথৈবচ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে কমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই।
তবে রাত বা ভোরের দিকে ঘাম হবে না কারণ যেহেতু ফণী সমস্ত আর্দ্র বায়ু টেনে নিয়ে চলে গিয়েছে ফলে কোনও আর্দ্র হাওয়া অন্তত সমুদ্রের থেকে প্রবেশ করছে না রাজ্যে। যেটুকু আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি রয়েছে তা পুরোটাই স্থানীয় জলাশয় থেকে ভাপ উঠে। সেখান থেকে বৃষ্টি পেতে গেলে সময় লাগবেই বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। এর চেয়ে বেশি কিছু বড় কিছু যা স্বস্তি দিতে পারে দক্ষিণবঙ্গকে তার জন্য বাইরে থেকে জ্বলিয় বাস্প দরকার। তার ধাক্কাতেই কিছু হতে পারে। তার আগে পর্যন্ত কিছুই সম্ভব নয়।
যেমন কলকাতায় বুধবারের সর্বোচ্চ আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৮ শতাংশ। দুপুরের দিকে যে হাওয়া দিচ্ছে তা বেশ গরম তবে তাকে লু বলা যাবে না বলেই মত হাওয়া অফিসের। ভালো আছে উত্তরবঙ্গ। বৃষ্টি না হলেও সিকিমে বৃষ্টির জেরে সেখানে আবহাওয়া বেশ মনোরম। বেলায় হালকা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামলে কলকাতার বাঙালিকে এখনও গায়ে হালকা কিছু দিতে হটে পারে। কারণ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সেখানে এখনও ২০-র নীচে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় গড় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি। অনেক জেলাতেই দুপুরে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে দক্ষিনবঙ্গকে অপেক্ষা করতে হবে বহিরাগত আর্দ্র হাওয়ার উপর।