নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর যথেষ্ট চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ তথা দলনেতা গুলাম নবী আজাদ জানিয়ে দিলেন, সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার-সহ তিনটি দাবি না-মিটলে বয়কট করা হবে রাজ্যসভার অধিবেশন। নয়া কৃষি সংক্রান্ত বিল নিয়ে এমনিতেই প্রথম থেকে কেন্দ্রকে চেপে ধরেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে বিলে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তার ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে চাষিদের থেকে ফসল, আনাজ কিনতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। যা কংগ্রেসের ভাষায় আদতে ‘চাষিদের মৃত্যু পরোয়ানা’। আজাদ এদিন জানান, পৃথক একটি বিল এনে মোদী সরকারকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তাঁর কথায়, সরকারকে আরও একটি বিল আনতে হবে, যাতে বেসরকারি কোনও সংস্থা খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে না-পারে। যতক্ষন না পর্যন্ত আমাদের দাবি মিটছে ততক্ষন অধিবেশন বয়কট করা হবে। এরপরই কক্ষ ত্যাগ করেন আজাদ-সহ বিরোধী সংসদরা।
মঙ্গলবার রাজ্যসভার দলনেতা গুলাম নবী আজাদ জানান, তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীরা অধিবেশন বয়কট করবেন। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জানান, প্রথমত আরও একটি বিল এনে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে কোনও বেসরকারি সংস্থা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কম দামে কৃষিপণ্য কিনতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, সেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাম নির্ধারণ করতে স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে। তৃতীয়ত, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কম দামে যেন ফসল, আনাজ না কেনে ফুড কর্পোরেশন ইন্ডিয়া বা কেন্দ্রের অন্যান্য সংস্থা। তার কিছুক্ষণ আগেই আট সাংসদের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করারও দাবি জানান রাজ্যসভার দলনেতা। সেই দাবি পূরণ না হলেও অধিবেশন বয়কট করার হুুঁশিয়ারি দেন তিনি। তারপরই সমবেতভাবে বিরোধীরা সভাকক্ষ থেকে ওয়াক-আউট করেন। তাতে সামিল হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরাও।
2020-09-22