আইসক্রিমের ব্যবসার আড়ালে ভুয়ো নথি তৈরি করে মোটা অংকের ব্যাংক জালিয়াতি! চাঞ্চল্যকর অভিযোগে বিখ্যাত ডেয়ারি সংস্থা কোয়ালিটির (Kwality) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল সিবিআই। দিল্লির এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে মোট ১৪০০ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ আছে। মূল অভিযুক্ত কোয়ালিটির ৩ ডিরেক্টর সঞ্জয় ধিংড়া, সিদ্ধার্থ গুপ্ত এবং অরুণ শ্রীবাস্তব।
সিবিআই সূত্রের দাবি, এই সংস্থাটি একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসকারি ব্যাংকের কাছ থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়ে তা শোধ করেনি। এখনও পর্যন্ত মোট দশটি এমন ব্যাংকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল কোয়ালিটি। স্টেট ব্যাংক (State Bank), ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাংক অফ বরোদা, কানাড়া ব্যাংক, কর্পোরেশন ব্যাংক, ধনলক্ষ্মী ব্যাংক, সিন্ডিকেট ব্যাংক এবং আইডিবিআই ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সংস্থাটি। এখনও পর্যন্ত একাধিক ব্যাংক থেকে মোট ১৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর, সাহরানপুর, রাজস্থানের আজমেঢ় এবং হরিয়ানার পালওয়ালে কোয়ালিটির একাধিক দপ্তর ও ডিরেক্টরদের অফিসে হানা দেয় সিবিআই দল। মিলেছে বহু অসংলগ্ন তথ্য। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথি।
সিবিআইয়ের (CBI) দাবি সেই ২০১০ সাল থেকেই জালিয়াতি শুরু করেছে সংস্থাটি। সেসময় এরা যে সম্পত্তির নথি দেখিয়ে ঋণ নিয়েছিল, তা ভুয়ো। একাধিক ব্যাংকে সেই ভুয়ো সম্পত্তির নথি দেখিয়ে ঋণ নেয় সংস্থাটি। বিভিন্ন রকম নথিপত্র জাল করে জমা দেওয়া হয়েছিল ব্যাংকগুলিতে। শুধু তাই নয়। সিবিআই বলছে, গত কয়েক বছরে এই ডেয়ারি সংস্থাটির রোজগারের পরিমাণ এবং লাভের অঙ্কও বেশ সন্দেহজনকভাবে বেড়েছে। মোট কথা, পুরো সংস্থটিকে ঘিরেই বড়সড় কেলেঙ্কারির আভাস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই আগামী কয়েকদিনে সংস্থার আরও একাধিক ঠিকানায় তল্লাসি চালাতে পারে। এদিকে, ইতিমধ্যেই কোয়ালিটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে বিরোধীরা।