২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এয়ার স্ট্রাইক আর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কথা তুলে বিজেপি যখন দেশের মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। তখন কংগ্রেস হুত করে বলে দেয় যে তাঁদের আমলে ৬ টি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। কংগ্রেসের এই দাবির পর একটি RTI এর জবাবে সেনা জানায়, UPA আমলে পাকিস্তানের মাটিতে কোন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়নি।
জম্মুর একটি RTI কর্মীর আবেদনে সেনার মহানির্দেশক সৈন্য অভিযান (DGMO) মঙ্গলবার এই তথ্য দেয়। RTI কর্মী রোহিত চৌধুরী জানতে চেয়েছিলেন যে ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আর সেপ্টেম্বর ২০১৬ এর পর সেনা কতবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল? আর সেগুলোর মধ্যে কোটি সফল হয়েছিল? রোহিতের প্রশ্নের জবাবে DGMO জানায়, আমাদের কাছে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ এর আগে কোন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হওয়ার তথ্য নেই।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, কিছুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, কংগ্রেস সরকার সেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়ে রেখেছিল। আমাদের আমলে অনেকবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। আমাদের কাছে সৈন্য অভিযান ভারত বিরোধী শক্তিকে মোক্ষম জবাব দেওয়ার একটা ভালো মাধ্যম ছিল, শুধু ভোট পাওয়ার জন্য আমরা সেনাকে ব্যাবহার করতাম না। বিজেপি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর দাবির পর কংগ্রেসের উপর ভোটের জন্য সেনার ব্যাবহার করার অভিযোগ তোলে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাবেড়কর ২ মে রোহিত চৌধুরীর আরটিআই এর উল্লেখ করে একটি টুইট করেছিলেন। উনি লিখেছিলেন ‘এতদিন কংগ্রেস সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চাইছিল। এবার তাড়া বলছে যে, তাঁরাও ছয়বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করিয়েছে। একটি আরটিআই এ এই তথ্য উঠে আসে যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছিল। এর আগে এরকম কোন অভিযান চালানো হয়নি।”
প্রাকাশ জাবেড়করের এই বয়ানের পর অনেকেই আরটিআই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর মঙ্গলবার তিনি আরটিআই এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য গুলো সার্বজনীন করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই জবাবের পর কংগ্রেসের তরফ থেকে ঝুটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আর কোন বয়ান সামনে আসেনি।