IPL শুরুর আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দেশে ফিরেছিলেন সুরেশ রায়না (Suresh Raina)। এর ফলে হঠাৎই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। একই কাজ করেছিলেন হরভজন সিংও। তবে রায়না–ভাজ্জির অভাব কাটিয়ে প্রথম ম্যাচেই গতবারের ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছেন ধোনিরা। পাঁচ উইকেটে হারিয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। আর ম্যাচ জিতেই নাম না করে রায়না এবং হরভজন সিংকেই যেন বিঁধলেন মাহি।
শনিবার ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনু্ষ্ঠানে আইপিএলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মহাতারকাকে। সেখানেই ধোনিকে বলতে শোনা যায়, “আয়োজকরা আইপিএল সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে যেভাবে সমস্ত বন্দোবস্ত করেছে তা প্রশংসনীয়। এরকম টুর্নামেন্ট পুরোপুরি সফল করতে একাধিক বিষয়ের উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। ক্রিকেটার হিসেবে তো আমরা সমালোচনা করেই খালাস। ICC একাডেমিতে অনুশীলনের সুবিধা দুরন্ত এক অভিজ্ঞতা। ঠিক মতো অনুশীলনের সুবিধা না পেলে এমন বড় মাপের টুর্নামেন্ট খেলা সম্ভব নয়।”
এর আগে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আচমকাই সরে দাঁড়িয়েছিলেন সুরেশ রায়না। দলের সঙ্গে দুবাই গিয়েও ফিরে এসেছিলেন। দীপক চাহার (Deepak Chahar), ঋতুরাজ গায়কোয়াড–সহ দলের একাধিক সাপোর্ট স্টাফ আক্রান্ত হতেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাঁ–হাতি এই ক্রিকেটার। কয়েকদিন পর একই পথ অনুসরণ করেছিলেন হরভজনও। এদিকে, রায়না দেশে ফিরতেই তাঁর এভাবে সরে দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কেউ হোটেল রুম পছন্দ না হওয়াকে, কেউ ধোনির সঙ্গে ঝামেলা হওয়াকে কারণ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। পরে বোঝা যায়, করোনা সংক্রমণের ভয়েই আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই তারকা। তবে এদিন ধোনির কথাতেই স্পষ্ট, দুই ক্রিকেটারের অযথা ভয় হয়তো মোটেই ভালভাবে নেননি মাহি।