সীমান্ত পেরিয়ে ফের ভারতে অস্ত্র, টাকা ও মাদক পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল পাকিস্তান। তবে বিএসএফের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হল। রবিবার আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে আর্ণিয়া সেক্টর দিয়ে ভারতে মাদক ও অস্ত্র পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল পাক জঙ্গিরা বলে সূত্রের খবর।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ তল্লাশি চালায়। রবিবার রাত ২টো নাগাদ জম্মু সেক্টরের ৪২বিএন বুধওয়ারের বিএসএফ আউটপোস্টে খবর আসে চোরাচালানের। এলাকায় গিয়ে তল্লাশি চালানোর সময় ৩-৪ জন ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে বিএসএফের। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তল্লাশি শুরু করা হয়। এক ব্যাক্তিকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকতে দেখা যায়।
বিএসএফ তাকে সতর্ক করলেও সে কোনওরকমে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালায়। এরপরেই গুলি চালায় বিএসএফ। গুলির শব্দে পাকিস্তানের দিকে পালাতে শুরু করে ওই ব্যক্তি। তার সঙ্গে আরও ২-৩জন ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।এদিকে, ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৫৮ প্যাকেট মাদক, ২টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে তল্লাশি অভিযান সারা রাত ধরে চালানো হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় টাকা ও অস্ত্র সরবরাহের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার জম্মু কাশ্মীর পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং বলেন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই তিন ধৃত লস্কর এ তইবা জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য বলে খবর। পাকিস্তানের পাঠানো অস্ত্র ও টাকা সংগ্রহ করতে যেতেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়। দিলবাগ সিং বলেন শুক্রবার রাতে জম্মু রিজিয়নের রাজৌরি সেক্টরে পুলিশ ও ৩৮ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস যৌথ অভিযান চালায়।
গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গিই কাশ্মীরের বাসিন্দা। ওই তিনজনই পাকিস্তান থেকে পাঠানো টাকা ও অস্ত্র কুড়িয়ে নিয়ে যেতে এসেছিল। এদিন সাংবাদিকদের শীর্ষ পুলিশ কর্তা মুকেশ সিং বলেন এই নিয়ে তিন বার সফল অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে রাজৌরি ও পুঞ্চে অভিযান চালিয়ে প্রচুর অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিন যৌথবাহিনীর দিকে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ওই জঙ্গিদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা, ২টো একে ৪৭ রাইফেল, দুটো পিস্তল, চারটি গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিশ।