দেশের সর্বস্তর থেকে মতামত নিয়েই তৈরি হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি। জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরির আগে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সবার মতামতকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার পরেই তৈরি হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি। শনিবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
দেশের আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েত, ৬৭৫ জেলার সাড়ে ১২ হাজারের বেশি স্থানীয় প্রশাসনের মতামত নিয়ে তৈরি হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি। দেশের নতুন শিক্ষানীতি তৈরিতে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ২ লক্ষেরও বেশি মতামত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত মতামত ও পরামর্শকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সবার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার পরেই তৈরি করা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি। শনিবার এমনই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বরাবরই আশাবাদী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর আগে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভার সূচনা করে রামনাথ কোবিন্দ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মিলিত প্রচেষ্টাতেই গোটা দেশে নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করা হবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেছিলেন, ‘‘দেশে নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করা হবে। ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড টেকনলজি ফোরাম তৈরি করা হবে। নয়া শিক্ষানীতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মিলিত প্রচেষ্টাতেই কার্যকর করা হবে। রাজ্যগুলিও নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। দেশের সব রাজ্যের রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীদের নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা থাকবে।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে খুবই আশাবাদী। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রধানমন্ত্রীর মতামত,‘‘নয়া শিক্ষানীতি দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নেও পরিবর্তন আনবে। শুধুমাত্র পঠনপাঠনের ধরনেই নয়, গোটা দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের গতিকে নয়া দিশা দেখাবে এই শিক্ষানীতি।’’
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সময়ের চাহিদা মেনেই নয়া শিক্ষানীতি আনা হয়েছে। তাঁর মতে, পড়ুয়াদের উপর অতিরিক্ত অনাব্যশক পড়াশোনার ভার না চাপিয়েও কীভাবে তাঁরা ভবিষ্যতে সফল হতে পারবেন, তার একটা স্পষ্ট ধারণা মিলবে এই শিক্ষানীতি রূপায়নের ফলে। নরেন্দ্র মোদীর আরও দবি, ‘‘গোটা দেশ বর্তমানে যা চাইছে, সেই চাহিদা পূরণের যাবতীয় বিষয় রয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে।’’