দু’দিন আগেই সংসদে দাঁড়িয়ে দক্ষিণের রাজ্যগুলির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তারপরই কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৯ জন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) -এর আধিকারিকরা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলাম ও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ১১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান এনআইএর তদন্তকারীরা। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ জন ও কেরল থেকে তিন জন আল কায়দা (Al-Qaeda) জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অতর্কিতে ‘লোন উলফ্’ হামলা চালানোর ছক কষছিল জঙ্গিরা। কিন্তু, তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
ধৃতদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির উপাদান, দেশীয় পিস্তল, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস, জেহাদি কাগজপত্র-সহ অনেক জিনিস উদ্ধার হয়েছে। তাদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া আল কায়দা জঙ্গিদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল ধৃতদের। তারপর তাদের বক্তব্য অনুপ্রাণিত হয়ে নয়াদিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একাকী হামলার ছক কষছিল তারা। এর জন্য টাকা সংগ্রহ করার পাশাপাশি ধৃতদের মধ্যে কেউ কেউ দিল্লি গিয়ে অস্ত্র জোগাড়ের পরিকল্পনাও করেছিল। কিন্তু, তার আগেই ওই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করার ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার ঘটনা আটকানো গেল।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৬ জন হল নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল ও আতিউর রহমান। আর কেরলের এর্নাকুলাম থেকে ধৃত তিন জন হল মুরশিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোশারফ হোসেন। ধৃতদের কেরল ও পশ্চিমবঙ্গের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করার জন্য আবেদন জানানো হবে।