আইপিএল ১৩: ভুরি ভুরি রান নয়, আমিরশাহীর তিনটি পিচই হতে পারে বোলারদের স্বর্গ

আইপিএল (IPL 13) মানে লম্বা লম্বা ছক্কা, ভুরি ভুরি রান, সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি। না, এবারে হয়তো ছবিটা সেরকম হচ্ছে না। বরং উলটোটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারে হয়তো ইতিহাসের সবচেয়ে লো-স্কোরিং আইপিএল হতে চলেছে। কারণ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর তিনটি মাঠ এবং পিচ। এবারে যে তিন ভেন্যুতে ম্যাচগুলি খেলা হবে, সবকটিতেই কমবেশি সাহায্য পাবেন স্পিনাররা। অন্তত আমিরশাহীর পিচগুলির ইতিহাস তাই বলছে। কী বলছে আমিরশাহীর পিচের ইতিহাস? চলুন দেখে নেওয়া যাক।

১। দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়াম (Dubai International Cricket Stadium):
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেডিয়ামটির দর্শকসংখ্যা ২৫ হাজার। যদিও এবার খেলা হবে শূন্য স্টেডিয়ামেই। এর আগে ২০১৪ সালে এই স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল আইপিএলের ৭টি ম্যাচ। একটা-দুটো বাদে সবকটিই ছিল লো-স্কোরিং। এই মাঠে আইপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর ১৮৪। যেটা কিনা ৬ বছর আগে করেছিল হায়দরাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি। ঐতিহাসিক ভাবে এখানকার পিচ স্লো এবং লো বাউন্সের জন্য পরিচিত। সেই সঙ্গে হালকা টার্ন এবং বড় মাঠ (আইপিএলের জন্য বাউন্ডারি ছোট করা হতে পারে) ব্যাটসম্যানদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শুরুর দিকে টুকটাক রান পেলেও যত বেশি ম্যাচ আয়োজিত হবে, ততই খারাপ হবে পিচের অবস্থা।

২। আবু ধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম (Sheikh Zayed Cricket Stadium):
২০০৪ সালে তৈরি এই স্টেডিয়ামটির দর্শকাসন ২০ হাজার। ২০১৪ সালে এই স্টেডিয়ামটিতেও সাতটি ম্যাচ হয়। ২০১৪ আইপিএলে আমিরশাহীতে যে কোটি ম্যাচ হয়েছিল তার মধ্যে একমাত্র এই মাঠেই একটি ম্যাচে ২০০’র বেশি রান ওঠে। চেন্নাইয়ের দেওয়া ২০৬ রানের টার্গেট সহজেই তুলে ফেলে পাঞ্জাব। আবার এই মাঠেই কোহলির আরসিবি অলআউট হয়েছিল ৭০ রানে। উল্লেখ্য, আবু ধাবিতেই নিজেদের বেশিরভাগ হোম ম্যাচ খেলবে কেকেআর। এখানকার পিচে বাউন্স আছে। আবার মাঝে মাঝে বল নেমে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। গতি আর স্পিন দুটোই আছে। এখানেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে ব্যাটসম্যানদের।

৩। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম (Sharjah Cricket Stadium):
ঐতিহাসিক শারাজা স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালে। দর্শকাসন ১৭ হাজার। মজার কথা হল, আমিরশাহীর ক্রিকেট দল তেমন প্রতিষ্ঠিত না হলেও, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ এখানেই হয়েছে। ২০১৪ সালে এখানে মোট ৬টি আইপিএলের ম্যাচ খেলা হয়েছিল। আমিরশাহীর তিনটি পিচের মধ্যে এটিই ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে ভাল। একটা সময় এই মাঠ ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে এখানকার পিচ ঢেলে সাজানো হয়। তারপর পিচে টার্ন করা শুরু হয়। ২০১৪ সালে অবশ্য একাধিক ম্যাচে এখানে ১৯০ রানের বেশি উঠেছিল। তবে এবারে বল টার্ন করার সম্ভাবনা থাকছে। আর শারজার মাঠের ঐতিহাসিক মরুঝড়ের কথা ভুলে গেলে চলবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.