একটা নয়, দুটো নয়। দেশের মোট ৩০টি সংস্থাকে করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) তৈরির জন্য উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। এবং এই ৩০টি সংস্থার মধ্যে তিনটি সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আরও চারটি সংস্থা প্রি-ক্লিনিক্যাল ডেভেলপমেন্টাল স্টেজে আছে। বুধবার সংসদে এই স্বস্তির খবর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
এক সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছে,”ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা ৩০টিরও বেশি ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারী সংস্থাকে সাহায্য করছে সরকার। এদের মধ্যে অন্তত তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপে আছে। আরও অন্তত চারটি আছে প্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে।” স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার বিভিন্ন রকম চিকিৎসার জন্য মোট ১৩টি ওষুধ নিয়ে কাজ করছে সরকার। এবং বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
দেশের মাটিতে করোনার ভ্যাকসিন কবে তৈরি হবে? আপাতত সেই প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছে কোটি কোটি ভারতবাসী। রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কথা ঘোষণা করলেও, তাতে ভারতের খুব একটা উপকার হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। কারণ, রাশিয়ার ভ্যাকসিনের যা উৎপাদন হার, তাতে ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের শরীরে তা দিতে হলে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। আসলে, দেশের মাটিতে ভ্যাকসিন তৈরি না হলে সব ভারতবাসীর হাতে তা তুলে দেওয়াটা সত্যিই একপ্রকার অসম্ভব। সেজন্যই কেন্দ্র দেশীয় সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজে। এই সংস্থাগুলিকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে।
নিত্যানন্দ রাই এদিন সংসদে জানিয়েছে, ভ্যাকসিন তৈরির অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটিও গড়ে ফেলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি দেশের সেরা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে। মোট পাঁচটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এই সংস্থাগুলি হল সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India), ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech), জাইদাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila), জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই। এই সংস্থাগুলির সব সমস্যার কথা শুনে তাঁদের সাহায্য করা হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।