উডস্টক বিদ্যালয়ে (ল্যান্ডর) ভিক্টর ব্যানার্জির স্বাধীনতা দিবসের ভাষন …
হরি ওম এবং জয় হিন্দ
আমি সামাজিক পরিসরে নিজেকে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে স্বেচ্ছায় ৩৮ বছর আগে ল্যান্ডোরে এসে বসবাস শুরু করি। আমার সেই ইচ্ছা এতদিনে পূরণ হল, কিন্তু আমি যেভাবে চেয়েছিলাম বা কল্পনা করেছিলাম সেভাবে নয়। কোভিড-১৯ বাতাস, পরিবেশ ও আবহাওয়াকে পরিশুদ্ধ করেছে। ব্লু ম্যাগপাই , হিমালয়ের কাক এইসব ঝাড়ুদার পাখিরা পাহাড়ের চূড়া থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে, তাদের কিচিরমিচির আর শোনা যায় না। আমরা শান্তিতে পরিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি।
আজ আমার এখানে বক্তৃতা দিতে আসার পেছনে স্থূল কারণ হল – ওয়াল্ট হুইটম্যানের “লিভস অব গ্র্যাস”। হুইটম্যান কবিতাটি ভারতে বসে লেখেন নি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করতেন এখানে মানব জীবনের আত্মানুসন্ধানের উদ্যেশ্যে যাত্রা অবশ্যই আছে। এই বছরে ঘাসের পাতাগুলো যেন বহু বছর ধরে আমরা যেমন দেখি তার তুলনায় একটু বেশিই সবুজ। এখনও পর্যন্ত প্রকৃতি মাতা এবং জর্জ ফ্লয়েড মানব সভ্যতার টুঁটি টিপে রেখেছে, তাতে আমরা দমবন্ধ হয়ে খাবি খাচ্ছি, শ্বাস নিতে পারছি না।
হুইটম্যান মারা যান ১৮৯২ সালে, ওই একই বছরে আফ্রিকান-আমেরিকান প্রথম সারির কবিদের মধ্যে থেকে বালক কবি লরেন্স ডানবার ‘দ্য মাস্ক’ নামে একটি কবিতা লেখেন। আপনারা এই কবিতাটির সঙ্গে বর্তমান সময়ের বেশ কাকতালীয় মিল খুঁজে পাবেন। কোনো সঙ্গীত নয়, এই কবিতার মধ্যে থাকা কান্না ১২৮ বছর পরেও কবিদের কলমের কালিকে ধেবড়ে দেয়।
আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে কিছুটা আবৃত্তি করছি – ” আমরা দন্ত বিকশিত হাসি এবং মিথ্যার মুখোশ পরে থাকি।
এই মুখোশ আমাদের চিবুক এবং চোখকে ঢেকে দেয়।
এই ঋণ আমরা পরিশোধ করি ছলনা দিয়ে।
ছিন্ন এবং রক্তাক্ত হৃদয় নিয়েও আমরা হাসি।
এবং মুখে স্বরের নানা সূক্ষ্মতা রচনা করি।
কেন এই পৃথিবী অতি চালাক হবে আমাদের অশ্রু এবং হতাশ্বাস গুনতে?
না, পৃথিবীকে শুধু আমাদের মুখোশটাই দেখতে দাও।
পৃথিবীকে নাহয় স্বপ্নই দেখতে দাও, আমরা মুখোশ পরেই থাকি।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা বহু বার আমাদের আত্মীয় প্রতিবেশী ভাইবোনেদের ‘এই কি করছ?’ বা ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞেস করে থাকি। এইসব কথাবার্তার মধ্যেকার ‘ধন্যবাদ’, ‘স্বাগতম’, ‘কেমন আছো’ শব্দবন্ধগুলোকে হ্যারি ফ্রাঙ্কফুর্ট বর্ণনা করেছেন – অর্থহীন উচ্চারণ হিসাবে। কারণ আমরা এর আক্ষরিক অর্থকে ধরি না, সামনের মানুষটি কেমন আছেন বা তাঁর অনুভূতি কি তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না, এই জাতীয় শব্দবন্ধ কেবল অর্থহীন সৌজন্য হয়েই থেকে যায়। এইরকম মুখোশ আমরা প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়াই।
বোমার আবিষ্কর্তা ওপেনহেইমার প্রত্যক্ষ করেন কিছু মানুষ যখন হাসে তখন অন্য কিছু মানুষ কাঁদে। এক বৃহত্তর অংশের মানুষ চমকে উঠেছিল, যখন তাঁর মুখে ‘ভগবদ্গীতার’ একটি শ্লোক শোনা যায়। যেখানে তিনি বলছেন – ‘আমি এই মুহুর্তে মৃত্যু এবং বিশ্বের ধ্বংসকর্তায় পরিণত হয়েছি।’
তবে অতি শীঘ্রই প্রকৃতি মাতা এবং জর্জ ফ্লয়েড আমাদের বুকের ওপর থেকে তাদের থাবা সরিয়ে ফেলবে, পুনরায় আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ সুগম হবে। দৈববাণী শুনুন – ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’ – সমগ্র পৃথিবী একটি পরিবার। আমরা সকলেই ভাই-বোন, সমগ্র পৃথিবী আমাদের পরিবার।
বৈশ্বিক কোভিড-১৯ অতিমারীর মধ্যভাগে এই বছরের জুলাই মাসে ওকলাহোমা রাজ্যের অর্ধাংশ মূল নিবাসী আমেরিকানদের হাতে সমর্পিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চল অ্যাবরগিনালদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে আর আইয়ারস পর্বতে পদার্পণ করা যায় না। নিউজিল্যান্ডে উরুলু এবং মায়রিসদেরও তাদের ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঠিক একই ঘটনা ঘটছে কানাডাতেও। কিন্তু দুঃখের বিষয় এরকম কোনও ঘটনা হয়তো তিব্বতে কখনও ঘটবে না। সুতরাং ‘স্থানীয় অধিবাসী’র সংজ্ঞা কি? এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার আছে, যা আমি আগামীর জন্য তুলে রাখছি। যদি কখনও এরকমই সাহসী বক্তৃতার জন্য আমাকে আবার ডাকা হয় তখন এবিষয়ে আলোচনা করবো।
পরিশেষে নোবেল জয়ী অ্যামেরিকান কবি টি এস ইলিয়ট কিছু কথা উল্লেখ করতে চাই। তিনি ভারতবর্ষকে পূজা করেছেন। ‘ওল্ড পসাম’স বুক অফ প্র্যাকটিক্যাল ক্যাটস’ তিনি রচনা করেন, তাঁর রচিত ‘দ্য ওয়েস্টল্যান্ড’ গত শতাব্দীর অন্যতম বিখ্যাত রচনা। যার পরিসমাপ্তি ঘটে গঙ্গার উৎসস্থলে যেখানে ঝড়ের গর্জন শোনা যায়। যা কখনও প্রত্যক্ষ করতে পারেননি। ‘দ্য ওয়েস্টল্যান্ড’এর সর্বশেষ শব্দগুলি হল ‘শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ’। সকলের শান্তি। হরি ওম জয় হিন্দ।
VICTOR BANERJEE shares with us the thrust of a speech he gave at Woodstock School, Landour, on Independence Day, 2020
Principal Dr Craig Cook, Teachers and Dear Friends, Hari Om and Jai Hind. For God and my Country: that was the motto of the Social Service Group I headed in my school many many years ago.
Look at me now, I came to Landour 38 years ago to live a socially distanced and isolated existence by choice: and finally that dream has come true… but not as I had wanted, or imagined it would.
Covid has cleared the air, and the atmosphere, and the environment. Scavengers like the beautiful blue magpie and the Himalayan jungle crow have disappeared from the top of the hill and we breathe fresher air around here with Shrimati Sanjaya Mark as our new Chaplain.
She is currently busy making masks that she is distributing by the hundreds, free of cost, to locals and villagers nearby. “Locals”, yes, I’ll come back to that a little later.
Walt Whitman’s “Leaves of Grass” from which your Principal chose to quote an extract during the Staff Retreat, from “A Passage to India”, is perhaps the obtuse reason I am standing here before you today.
And in passing I’d like to say Dr.
Cook chose a section of Whitman’s poem that sounded as perilous as his contemporary Longfellow’s “Wreck of the Hesperus” that is much more applicable to the world and its leaders today. For the next retreat Sir, I’d strongly recommend the Song of Hiawatha that we were forced to study at my school, in the eastern Himalaya.
Whitman never made it to India but he believed that a journey here would be a soul-searching voyage, a return to the birthplace of mankind. These leaves of grass we see this year are more verdant than I’ve seen in a very long time.
And yet, Mother Nature, and the spirit of George Floyd, are kneeling on mankind’s neck and jugular as we choke and gasp and can’t breathe.
Whitman died in 1892: the same year that one of the first African American poets, a young lad at the time, called Laurence Dunbar, wrote a great poem called “The Mask” – what a coincidence you might say today and no music to ones ears 128 years after those tears smudged a poet’s ink.
(Let me recite a few lines for you)
We wear the mask that grins and lies,
It hides ours cheeks and shades our eyes, –
This debt we pay to human guile;
With torn and bleeding hearts we smile, and mouth with myriad subtleties.
Why should the world be over-wise,
In counting all our tears and sighs ?
Nay, let them only see us, while
We wear the mask…….
…let the world dream otherwise,
We wear the mask ”
From the moment we open our eyes in the morning and turn to our brothers and sisters and say, “Hey. How ya doin Man?” all the way through to sundown, most of our “Please’s” and “thank you’s” and “you’re welcomes” and “how are you’s” are utterances that Harry Frankfurt described as bullshit: meaningless utterances because we don’t mean a syllable of it, don’t care a damn how you are or how you’re feeling but have merely learned to regurgitate purposeless niceties. It’s a mask that each one of us wears everyday as is elaborately outlined in Professor Frankfurt’s little novella called “On Bullshit”. He taught Philosophy at Yale and Princeton.
Through centuries of cruel and inhumane oppression no one has turned around like the co-pilot of that B29 bomber, 75 years and a week ago today, and said, “My God, what have we done“. Covid, as of yesterday (August 14), has killed 168,000 Americans and they killed 105,000 in two days and double that in the months that followed, in Hiroshima and Nagasaki.
Oppenheimer who invented the bomb, sat back in a room and watched it happen while a few laughed, a few cried, the majority sat stunned while he, now famously, quietly quoted a shloka from the Bhagwad Gita: “Now I am become Death, the destroyer of worlds”.
Soon Nature and the spirit of Floyd will lift its knee from our necks and as the oxygen slowly flows back into our brains, listen to the Lord whisper “Vasudhaiva Kutumbakam” the world is one family. We are all brothers and sisters, the world is our family.
In the midst of Covid, a month ago, half of the State of Oklahoma was handed back to the Native Americans, The Northern Territories of Australia were handed back to the Aboriginals and you can no longer set foot on Ayers Rock, Urulu, the Maoris are being given back their land in New Zealand and the same is happening in Canada. Sadly, the same will never happen for Tibet.
Hence, what the definition of “locals” is to the people of those vast tracts of plundered land is something I save for the next time you dare invite me to speak to you.
After starting with Whitman, let me end with the famous words of a Nobel Laureate American poet (TS Eliot) who worshipped India and wrote the “Old Possum’s Book of Practical Cats” and also one of the greatest literary works of the last century, “The Wasteland”, that shifts, as it ends eerily, to the water of the Ganges and listens to the thunder in a land that Whitman never saw and the last words of The Wasteland are “Shantih: Shantih: Shantih”. Peace unto all.
Jai Hind. Hari Om.