দশ হাজার টাকার বিনিময়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়ার অডিও ভাইরাল হওয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেন ছাত্রী। শিলিগুড়ি কলেজের (Siliguri College) অধ্যক্ষ ড: সুজিত কুমার ঘোষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এই অভিযোগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান অমিতাভ কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক অমিতাভ কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার দিলীপ সরকার শুধুমাত্র অভিযুক্ত অধ্যাপক নয়, সেই সঙ্গে এই চক্রে অন্য যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ডঃ অমিতাভ কাঞ্জিলাল, অডিও টেপটিতে কন্ঠস্বর তাঁর নয় বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন। পুলিশি তদন্তের উপরই ভরসা রাখতে চান বলে জানিয়েছেন। এদিকে, শনিবার শিলিগুড়ি কলেজের সামনে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বহিষ্কার এবং কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনে বসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে এদিন জেলা তৃণমূলের তরফে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করে একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ রায়, বেদব্রত দত্ত, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায়, মিলন দত্ত, খগেশ্বর রায়-সহ অন্যান্যরা। তৃণমূলের তরফ থেকেও অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তি দাবি করা হয়।
এর আগেও বহু বছর ধরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কিংবা প্রভাব খাটিয়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া অথবা পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে লিখিত কোন অভিযোগ বা প্রমাণ না থাকায় সে বিষয়ে কোনো রকম তদন্ত হয়নি। এবারও অডিও টেপটি ভাইরাল হওয়ার পরেও যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযোগ পৌঁছয়নি ততক্ষণ কোনরকম তদন্ত শুরুর প্রচেষ্টা হয়নি। উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য এই অডিও টেপগুলি হাতে পেতেই দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। তারপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।