পুজোর আগে লোকাল ট্রেন চালু হবে এমন নিশ্চয়তা দিতে পারল না দক্ষিণ পূর্ব রেল। যা নিঃসন্দেহে যাত্রীদের কাছে দুঃসংবাদ। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও সম্মেলনে রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার মোহান্তি জানান, দক্ষিণ-পূর্ব রেল, পূর্ব রেল ও রাজ্যের সঙ্গে যৌথ আলোচনায় ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই এই মিটিং হবে। পুজোর (Durga Puja) এখনও বেশ খানিকটা দেরি থাকলেও এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, ঠিক কবে থেকে লোকাল ট্রেন চালু হবে। দূরপাল্লার ট্রেনও পরিস্থিতির বিচারে ধীরে ধীরে বাড়বে।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আনরেগুলেটিং ট্রেন বাতিলের কোনও পরিকল্পনা নেই। মেট্রোর মতো ঘেরাটোপ ও টিকেটিং ব্যবস্থায় বদলের সিদ্ধান্তও নেই। তবে যাত্রীদের ডিজিটাল সিস্টেমে আসার উৎসাহ দিতে হবে। মাও অধ্যুষিত এলাকায় রেলে সুরক্ষা বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়টি কেন্দ্রের উপর নির্ভর করছে বলে জিএম জানান।
শ্রমিক সমস্যায় প্রকল্পের কাজে প্রথম দিকে ক্ষতি হলেও এখন সমাধান হয়েছে। কাজ এগোচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে রাঁচি-বান্দমুন্ডা ডাবল লাইন, চক্রধরপুর-গৈলকেরা তৃতীয় লাইন, বাঁকুড়া-সোনামুখী বৈদ্যুতিকরণের কাজ দ্রুত গতিতে হয়েছে। লাইন বদল, পয়েন্ট রক্ষণাবেক্ষণ আগের থেকে অনেক বেশি হয়েছে এই পরিস্থিতিতে। রাঁচি স্টেশনে দুটো লিফ্ট, বিষ্ণুপুর ফুট ওভারব্রিজ, সাঁতরাগাছিতে নতুন ব্রিজের কমিশন হয়েছে। খুব কম যাত্রীবাহী ট্রেন চলায় প্রথম পাঁচ মাসে ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতি হলেও পণ্য পরিবহণে আয় বাড়ায় আগস্টে অপারেশন রেসিও ৯৮-এ এসে দাঁড়িয়েছে ওই রেলের, বলে দাবি করেছেন সঞ্জয়বাবু।
চলতি আর্থিক বছরে ১৭২ মিলিয়ন টন পণ্য বহন হয়েছে। হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ট্রেনের গতি বেড়েছে। মালগাড়ির গতি বাড়ায় পরিবহণের চাহিদা বেড়েছে। এখন ১৪ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালাচ্ছে ওই রেল। পরিবহণে নানা বিষয়ে বহর দেওয়ায় আগ্রহ দেখিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আয়রন ওর, কয়লা, স্টীলজাত সামগ্রী বেশি বহনের সঙ্গে সিমেন্ট, ডলমাইট, পেট্রলজাত সামগ্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে খাদ্যশস্য পাঠানো হচ্ছে মালগাড়িতে।