আবাসনের সামনে থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় এক মহিলা ও তাঁর শিশুকন্যা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কসবার (Kasba) বৈকুন্ঠ ঘোষ রোড এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় কসবা থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করার জন্যই সন্তানকে নিয়ে ব্যলকনি থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই মহিলা।
দীর্ঘদিন ধরে কসবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কোয়ার্টারে স্বামী, শাশুড়ি ও সন্তানের সঙ্গে থাকেন ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎই একটি শব্দ পায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে দেখেন আবাসনের সামনে জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মহিলা ও তাঁর শিশুকন্যা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় কসবা থানার পুলিশ। তবে কারও আঘাতই খুব একটা গুরুতর ছিল না।
কিন্তু কেন এই কাণ্ড? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা। যে কারণে স্বামী দিনভর নজরেই রাখতেন স্ত্রীকে। শেষ কয়েকদিন ধরেই কার্যত জেগেই রাত কাটাচ্ছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে চোখ লেগে যায়। ঘুম ভাঙতেই দেখেন স্ত্রী পাশে নেই। এরপরই চিৎকার শুনে বেরিয়ে দেখেন স্ত্রী ও সন্তান নিচে। জানা গিয়েছে, বৃষ্টির কারণে মাটি ভিজে থাকায় মহিলা ও তাঁর সন্তান দু’জনের কেউই গুরুতর জখম হননি। কিন্তু এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, মহিলার স্বামী যা তথ্য দিয়েছেন তা আদৌ সত্যি কিনা। গোটা ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।