দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। সীমান্তে চিনের চোখ রাঙানির মাঝেই আজ, বৃহস্পতিবার ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিল ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফালে (Rafale)। আম্বালার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ফরাসি মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লে ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রন, গোল্ডেন অ্যারোতে যোগ দিল এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। বলাই বাহুল্য, লাদাখ সীমান্তে চিনের জে-২০ যুদ্ধ বিমানের ওড়াউড়ির মাঝেই বায়ুসেনায় রাফালেন অন্তর্ভুক্তি ভারতকে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় রাখবে।
গত ২৭ জুলাই ভারতে এসেছে ৫টি রাফালে যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে ৩টি হল সিঙ্গল সিটের ও ২টি ডাবল সিটের। শত্রুদের ঘায়েল করতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মেটিওর মিসাইল, আকাশ থেকে মাটিতে নিক্ষেপযোগ্য স্কাল্প মি ও হ্যামার মিসাইল। ফলে এই বিমানের ঘাতক শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। বুধবারই প্রতিরক্ষ মন্ত্রক থেকে টুইট করে রাফালের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধবিমানগুলির আবরণ উন্মোচন করা হল। তারপর একাধিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনার নতুন সঙ্গী হল রাফালে। এদিন রীতি মেনে সর্বধর্ম পুজোর পর আকাশে নানা কসরত দেখায় রাফালে, এসইউ ৩০ ও জাগুয়ার এয়ারক্রাফট। এদিন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনীর সময় খুব ধীরগতিতে ওড়ে বিমানটি। এরপর আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রীতি মেনে জলকামান দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় ফাইটার জেটকে।
লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনা এখন চরমে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ইতিমধ্যেই বিপুল সেনা মোতায়েন শুরু করে চিন। সীমান্ত থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জে-২০ বিমান মোতায়েন করেছে চিন। মাঝেমধ্যে সীমান্ত লাগোয়া আকাশে চক্করও কাটছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাফালে বায়ুসেনায় যোগ দেওয়া যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।