মুম্বই এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে নিয়ে কড়া মন্তব্যের জেরে শিব সেনার রোষানলে কঙ্গনা রানাউত। যার জেরে উদ্ধব প্রশাসনের নজর এখন অভিনেত্রীর ‘অবৈধ’ বাংলো ও অফিসের দিকে। এদিকে বৃহন্মুম্বই পুরসভার এই কর্মকাণ্ড রুখতে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার রেশ ধরেই বুধবার বম্বে হাই কোর্টের তরফে কঙ্গনার বাংলো ভাঙার কাজ বন্ধের জন্য BMC-কে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। এদিকে তাঁর মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর, নানা বিতর্কের মাঝে বুধবার সকালেই শিব সেনা শাসিত বৃহন্মুম্বই পুরসভা বুলডোজার নিয়ে হাজির হয়েছে অভিনেত্রীর বান্দ্রার বাংলোর সামনে। কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর অফিস ও বাসভবন অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি তথ্য-প্রমাণাদি দেখাতে না পারলে তা ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হবে। হলও তাই! কঙ্গনা মুম্বইয়ে পা রাখার আগেই তাঁর বাংলো ভাঙার কাজ শুরু করতে প্রস্তুত বৃহন্মুম্বই পুরসভা কর্মীরা। যার জেরে মুম্বই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী।
পিটিআই সূত্রে খবর, সকাল ১১টার কিছু পরেই কঙ্গনার অফিস ভাঙার কাজ শুরু হয়। যার জেরে পুরসভার কাজে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়ে তড়িঘড়ি বম্বে হাই কোর্টে নিজের আইনজীবীকে পাঠিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর আরজির ভিত্তিতে বেশ তৎপরতার সঙ্গেই মামলার শুনানি শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিন মামলার রায়ে BMCকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্ট। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের সময় আগামী শুনানি হবে। পাশাপাশি একটি রিপোর্ট ফাইলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএমসিকে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, শিব সেনার সঙ্গে ঝামেলার মাঝেই কর্ণি সেনার সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন কঙ্গনা। বোন রঙ্গোলির সঙ্গে নাকি তাঁদের প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রয়েছে। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে নিরাপত্তা দিয়ে বান্দ্রার বাড়িতে পৌঁছে দেবেন তাঁরা অভিনেত্রীকে।
বুধবার সকালেই একটি বিস্ফোরক টুইট করে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে, অবৈধ কনস্ট্রাকশনের আখ্যা দিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই তাঁর বাংলোর সামনে হাজির হয়েছে ভেঙে ফেলার জন্য। সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রতিবাদে অনেকেই সরব হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যে, “কোথায় গেল গণতন্ত্র? BMC অন্তত কঙ্গনা রানাউতের মুম্বই পৌঁছনো অবধি অপেক্ষা করতে পারত!”