মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে তাঁর বাকযুদ্ধ আর কোনও নতুন ঘটনা নয়। বুধবার সকালে সেই যুদ্ধের সুর পৌঁছাল সপ্তমে। এদিন সকাল থেকেই বৃহনমুম্বাই কর্পোরেশন থেকে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভাঙার কাজ শুরু হল। শিবসেনা পরিচালিত
বৃহনমুম্বাই করপোরেশনের এই কাজকে ‘ডেথ অব ডেমোক্রেসি’। সঙ্গে টুইটে লিখেছেন, “পাকিস্তান।” এর আগেও শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি পরিচালিত মহারাষ্ট্রকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। পাল্টা শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত কঙ্গনা রানাওয়াতকে মুম্বইতে ঢুকতে না দেওয়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। পাল্টা কঙ্গনাও মুম্বই কারো বাপের না বলে ৯ সেপ্টেম্বর ফেরার কথা বলেন। কিন্তু, সেদিন সকাল থেকেই তাঁর অফিস ভাঙার কাজ শুরু করল কর্পোরেশন।
সোমবার টুইট করে কেন্দ্রের তরফে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান কঙ্গনা। তিনি বলেছেন, “এটা প্রমাণ করে যে এবার থেকে দেশভক্ত আওয়াজকে কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমি অমিত শাহজিকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এই পরিস্থিতিতে তিনি বলতেই পারতেন কয়েক দিন পরে মুম্বই যেতে। কিন্তু দেশের মেয়ের কাছে তিনি প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। আমাদের আত্মসম্মানকে সম্মান দিয়েছেন। জয় হিন্দ।” প্রসঙ্গত, হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের (Jairam Thakur) কাছে মেয়ের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছিলেন কঙ্গনার বাবা অমরদীপ রানাওয়াত। কঙ্গনার পিতার এমন আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Home Ministry) তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি পাঠান হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী। তুই আবেদনের ভিত্তিতে এখন থেকে ১১ জন নিরাপত্তারক্ষী পাবেন তিনি। তার মধ্যে একজন বা দু’জন কম্যান্ডো ও বাকিরা পুলিশ আধিকারিক। এদিন তাঁর অফিস ভাঙতে যাওয়ার ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক দাঁনা বাঁধল।