পূর্ব লাদাখের প্যাংগং ঝিলের দক্ষিণ দিকে ২৯ আগস্ট রাত এবং ৩০ আগস্ট ভোরের দিকে চিনা আগ্রাসন রুখে দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।এরপর প্রায় ছয়দিন ধরে ব্রিগেডিয়ার কমান্ডার পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে বৈঠকে কোন সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। উল্টা চিন ভারতের ওপর ক্রমাগত কূটনৈতিক চাপ বারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। চিনের দাবি ফিংগার ফোর সংলগ্ন শৃঙ্গগুলিতে যেখানে ভারত নিজের সেনা সমাবেশ করেছে।সেখান থেকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
চিনের এই একরোখা মনোভাবের পাল্টা জবাব দিতে চার ইউনিট এনএসজি কমান্ডো মোতায়েন করেছে ভারত। সামরিক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং ঝিলের দক্ষিণ দিকে চিন যে সব গোপন ক্যামেরা এবং নজরদারির জন্য যন্ত্রাংশ মোতায়ন করেছিল সেগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। প্যাংগং ঝিলের দক্ষিণ দিকে থাকুংগ শৃঙ্গ থেকে শুরু করে তিন কিলোমিটার বিস্তৃত রেজাংলা পর্যন্ত এলাকায় নিজেদের সেনা সমাবেশ করেছে ভারত। এই তিন কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ব্লাকটপ, হেলমেট, মাগর এবং ঘুঙরু শৃঙ্গগুলিতে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে ভারত। বহুকাল ধরেই ভারত দাবি করে আসছিল এই গোটা এলাকায় তাদের দখলে।অন্যদিকে রবিবার জানা গিয়েছে যে সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা দুটি সামরিক বিমান ঘাঁটিকে উন্নত করেছে চিন।যেকোনও সময় এই দুটি বিমান ঘাঁটিকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারে লাল ফৌজ।